দেশের ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে – পরিবেশমন্ত্রী

10
বড়লেখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধান বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ‘দেশের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। দেশের উন্নয়নকে সহ্য করতে না পেরে, দেশকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্রকারী এ কুচক্রীমহলকে দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। কোনো অবস্থায়ই বাংলাদেশের স্বাধীনতা, উন্নয়নকে ব্যাহত করতে দেওয়া হবে না। তাদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে উন্নয়নের গতিধারাকে অব্যাহত রাখা হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়েই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।’
পরিবেশ মন্ত্রী সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধান বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন মন্ত্রী। এ অনুষ্ঠানে ঢাকার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি। পরিবেশ মন্ত্রী উপস্থিত কৃষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘বর্তমান সরকার কৃষকদের বীজ, সার, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত রাখবে। কোনো কৃষিজমি পতিত রাখা যাবে না। সারাবছর ধান, আলু, ডালসহ বিভিন্ন প্রকার ফসল ফলাতে হবে। এতে নিজের পাশাপাশি দেশেরও মঙ্গল হবে। করোনাভাইরাসের মহামারিকালে সবাইকে মাস্ক পরিধান, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ সবধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম আল ইমরানের সভাপতিত্বে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এমএসএম আশরাফুজ্জামান বিন হাফিজ ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পলাশ দত্তের যৌথ সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ তাজ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক নিয়াজ উদ্দিন, কৃষক সফিক উদ্দিন প্রমুখ। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ দেবল সরকার।
অনুষ্ঠানে ২০২০-২১ অর্থবছরে খরিফ-১/২০২১ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বড়লেখা উপজেলার ১৬০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের প্রত্যেককে বিনামূল্যে এক বিঘা আউশ ধান চাষের জন্য ৫ কেজি আউশ ধানের বীজ, ২০ কেজি ডিএপি (ডাইঅ্যামোনিয়াম ফসফেট), ১০ কেজি এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়।