কাজিরবাজার ডেস্ক :
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে রাতের আঁধারে সিলেট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে অসংখ্য দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস।
অথচ কদমতলী বাস স্ট্যান্ডের দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার থেকে অনুমান ১০০গজ দূরেই রয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার ফাঁড়ি। প্রশাসনের হাতের নাগালে হলেও দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ে নি বলে জানান স্থানীয়রা।
শুক্রবার রাত অনুমান ১০টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মিতালি পরিবহন ও সুনামগঞ্জ পরিবহন, আল-মোবারকাসহ কদমতলীতে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসগুলোর ভিতরে যাত্রীদের উপচেপড়া ভীড়। কাউন্টারের সামনেও চিত্র সাধারণ সময়ের মত যাত্রীরা গাড়িতে উঠার অপেক্ষায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন চালকের সাথে কথা হলে তারা জানান, যাত্রীর চাপ বেশি বিদায় গাড়ি ছাড়ছেন তারা। তবে সরকার পরিবহন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেনি। তারা আরও জানান, রাতে সব কাউন্টার থেকেই ২/৩টি করে গাড়ি ছেড়ে যাবে। সরকার পরিবহন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে কি না এই প্রশ্নের জবাবে সবাই বলেন, সরকার শিথিল করেনি। আমরা গাড়ি না চালালে কি খাবো?, আমাদের পরিবার কিভাবে চলবে?
ঢাকাগামী একজন যাত্রীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ছুটি কাটাতে বাড়ি এসছিলাম। এর মধ্যে লকডাউনের ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আমার কর্মস্থলে না ফিরলে আমার চাকরি হারাতে হবে। তাই রাতের আঁধারে ঢাকায় যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠেছি।
অন্য এক যাত্রী জানান, ঢাকা থেকে সিলেটে এসেছিলেন পরীক্ষা দিতে। কিন্তু পরীক্ষার একদিন আগে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে পরীক্ষা স্থগিত। তাছাড়া কলেজের হোস্টেলও এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উপায় না পেয়ে ঢাকায় যাচ্ছি।
এছাড়াও সিলেট শহরে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, পণ্য পরিবহনকারী ছোট বড় গাড়ি দিয়ে সরকারি পরিবহন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যাত্রী পরিবহন করছে দিনের আলোতে নির্দ্বিধায়।
এব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মো.মনিরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি জানি না, এখন জেনেছি। বিষয়টি দেখছি।