লকডাউন চলাকালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি না মানা, রেস্টুরেন্টেবসে খাবার পরিবেশন, ফুটপাত দখল এবং বেআইনিভাবে নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমান আদালত ৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের ব্যক্তিও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জরিমানার ২৭ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সিলেট নগরীর কালিঘাট, মেন্দিবাগ এলাকায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। সিসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিজন কুমার সিংহ ভ্রাম্যমান আদালতটি পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে নগরীর কালিঘাটে নিত্যপন্যের বিভিন্ন পাইকারী দোকানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করে পন্য বিক্রয় এবং ফুটপাত দখল করে পন্যের পসরা সাজানোর অভিযোগ দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জরিমানা ও মামলা করা হয়।
লকডাউন পালনে সরকারের জারি করা ১১টি নির্দেশনার মধ্যে অন্যতম হলো- খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ (টেকওয়ে/অনলাইন) করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয়বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না বলে পজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সিলেট নগরের কালিঘাট বাজার এবং মেন্দিবাগ পয়েন্টে সরকারের এমন নির্দেশনা উপেক্ষা করে কয়েকটি রেস্তোরাঁ ব্যবসা পরিচালনা করছিল। সিসিকের ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা এবং জরিমানা করেন।
এছাড়া রেস্তোরাঁয় উৎপাদিত বর্জ্য সুরমা নদীতে ফেলে পরিবেশ ও পানি দূষণের অপরাধে সিসিকের ভ্রাম্যমান আদালত এক রেস্তোরাঁ মালিককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অভিযানে মোট ৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা এবং ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউন চলাকালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনেরপ্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফুর রহমান, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ, বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং সিলেট মহানগর পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি