জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে একটি মহলের বিরোধিতার কারণে দীর্ঘ প্রায় ২ বছর ধরে একটি মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে। মাদ্রাসাটি বন্ধ থাকায় ধর্মীয় শিক্ষা লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, জগন্নাথপুর পৌর এলাকার শেরপুর গ্রামে প্রধান সড়কের পাশে বিগত ২০১২ সালে নিজস্ব ২০ শতক জায়গার উপর প্রতিষ্ঠা করা হয় “শাহিদাবাদ হাফিজিয়া মাদ্রাসা” (শেরপুর)। আর এ মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন শেরপুর-শাহিদাবাদ গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলহাজ্ব ছমরু আলী ও ফুলমতি বেগম। শুরু থেকে মাদ্রাসাটি ভালভাবেই চলছিল এবং প্রতিষ্ঠাকালে ১৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে মাদ্রাসাটির যাত্রা শুরু হয় এবং দুই বছরে ৮ জন শিক্ষার্থী হিফজ সম্পন্ন করে বিভিন্ন জায়গায় চলে গেছেন। তবে ২০১৬ সালে মাদ্রাসার পাশে থাকা খালের জমি নিয়ে গ্রামেরই একটি মহল বিরোধিতায় নিয়ে নেমে পড়ে। তারা ঐ জায়গা দিয়ে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা চালায় এবং মাদ্রাসা ও এর প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার শুরু করে। শুধু তাই নয় তারা প্রতিষ্ঠাতাদের নানাভাবে হয়রানি ও নানা সরকারি ও আইনী জটিলতায় ফেলে দিলে অনেকটা অভিমান, ক্ষোভ ও দুঃখে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ছমরু মিয়া ও তার পরিবার যুক্তরাজ্যে ফিরে গেলে পরবর্তীতে মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে যায়।
১৫ মার্চ বৃহস্পতিবার সরজমিনে দেখা যায়, মাদ্রাসাটি তালাবদ্ধ রয়েছে। এ সময় স্থানীয়রা জানান, প্রবাসী পরিবারটি অনেক উৎসাহ ও আগ্রহ নিয়ে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করলেও গ্রামের কিছু মানুষের বিরোধিতার কারণে তারা মাদ্রাসাটির কার্যক্রম চালাতে না পারায় মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে যায়। গ্রামবাসী মাদ্রাসাটি পুনরায় চালু করার দাবী জানান।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলেও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলহাজ্ব ছমরু আলী বলেন, নাড়ির টানে দেশের মায়ায় এসে এলাকার শিশুদের ইসলামী শিক্ষা প্রদানের জন্য মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। তবে একটি মহল আমাদেরকে নানাভাবে হয়রানী করেছে। তাদের যন্ত্রণায় বাধ্য হয়ে মাদ্রাসাটি বন্ধ করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি আইনগত সহযোগিতা করে তাহলে মাদ্রাসাটি আবারো চালু করা হবে।