স্টাফ রিপোর্টার :
আওয়ামী লীগ সরকারের গত ৯ বছরে দেশের ব্যাংক খাত থেকে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে সিপিডির দাবি করা এমন গবেষণাকে ’জাস্ট রাবিশ’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এর আগে দুপুরে বিমানযোগে সিলেটে পৌঁছান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তার ছোট ভাই ড. একে আব্দুল মোমেনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। দরগা গেইট এলাকায় তিনি প্রচারপত্র বিলি করেন। এসময় তিনি বলেন, নির্বাচনী হাওয়া আওয়ামী লীগের পক্ষে। বিগত দিনে সরকার যে উন্নয়ন করেছে তার ধারাবাহিকতার জন্য মানুষ নৌকায় ভোট দেবে।
এসময় তার সাথে ছিলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. এ কে আবদুল মোমেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আশফাক আহমদ, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আহমদ আল কবির, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, যুগ্ম সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, বিজিত চৌধুরী, জেলা যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, নাসির উদ্দিন খান, কানাডা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরোয়ার হোসেনসহ জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দের মধ্যে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, এডভোকেট শামসুল ইসলাম, সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, ডা. আরমান আহমদ শিপলু, তপন মিত্র, জুবের খান, আব্দুর রহমান জামিল, এডভোকেট রনজিত সরকার, নাজমুল ইসলাম এহিয়া, নুরুল ইসলাম পুতুল, জাবেদ সিরাজ, জাতীয় শ্রমিকলীগ সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি এম শাহরিয়ার কবির সেলিম, মহানগর কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রকিব বাবলু, সিলেট মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আলম খান মুক্তি, যুগ্ম আহবায়ক মুশফিক জায়গীরদার, এবং সকল অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত শনিবার ঢাকায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে আমাদের করণীয় কী শীর্ষক এক সেমিনারে বলা হয়, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে গেল এক দশকে ব্যাংক থেকে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে।। ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারি-বেসরকারি ১৪টি ব্যাংকের মাধ্যমে এসব অর্থ খোয়া গেছে।
এদিকে সিলেট-১ আসনে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের দুই মেয়াদে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তা অতীতের ৩৮ বছরেও হয়নি। সিলেট-১ আসনে সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের নেতৃত্বে বিগত দশবছরে সিলেট মহানগরী ও সদর উপজেলায় প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি মঙ্গলবার সিলেট মহানগর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী জনসভা ও গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন আরও বলেন, আমার বড় ভাই আবুল মাল আবদুল মুহিত দুই মেয়াদে এই অঞ্চলের সংসদ সদস্য ছিলেন। জনস্বার্থে তিনি সবসময় উদার ছিলেন। এলাকার কোন মানুষ উন্নয়ন কাজ নিয়ে তাঁর কাছে গেলে কেউ খালি হাতে ফিরে আসেনি। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও তিনি এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে সবসময় আন্তরিক ছিলেন।
মঙ্গলবার সকালে নগরীর মির্জাজাঙ্গাল মণিপুরি রাজবাড়িতে মণিপুরি সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন, বেলা ২টায় নগরীর শাহজালাল মাজার গেইট এলাকায় তাঁর নির্বাচনী গণসংযোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বড় ভাই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপি, বিকেল ৪টায় নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সে হোটেল রেস্তোরা শ্রমিকলীগের মতবিনিময় ও বিকেল ৫টায় মহিলা শ্রমিকলীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভা যোগ দেন ড. মোমেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সে সিলেটের মহাজোট নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সন্ধ্যায় নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় করেন ড. মোমেন। রাত ৮টায় সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের মোল্লারগাঁও এলাকায় নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। রাতে উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের তেমুখী পয়েন্টে সদর উপজেলা আঞ্চলিক নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।
দিনব্যাপি এসব সভায় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আহমদ আল কবির, মহাজোট নেতৃবৃন্দের মধ্যে জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান আহমদ, সিলেট জেলা সভাপতি আলহাজ কলমদর আলী, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সিকন্দর আলী, মহানগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমদ, জাসদ নেতা আলা উদ্দিন খান মুক্তা, ন্যাপ সিলেট মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন, জেলা জাতীয় পার্টির আব্দুস শহীদ লস্কর, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হাছিন আহমদ, সহ-সভাপতি আব্দুল জব্বার জলিল, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মুকির হোসেন চৌধুরী, সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাউন্সিলর শাহানারা বেগম, সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী এজাজুল হক এজাজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজিত চৌধুরী, জেলা আওয়ামলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, নাসির উদ্দিন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।