সাচনা-জামালগঞ্জ খেয়া ভাড়া ৫ টাকা !

36

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হাওরের বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থ সাচনাবাজার ও জামালগঞ্জ উপজেলা সদরকে দুভাগে বিভক্ত করেছে সুরমা নদী। নদীর একপারে বাজার এবং অন্যপারে উপজেলা প্রশাসন হওয়ায় যাতায়াতের মাধ্যম হচ্ছে খেয়া নৌকা। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এপার ওপার হন খেয়া নৌকায়। কিন্তু খেয়া ভাড়া ২ টাকাহলেও প্রতিজনের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৫ টাকা। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাদের সাথে খারাপ আচরণ করা হয়।
জানা যায় খেয়া খাটটি সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ থেকে নিলাম দেওয়া হয়। নিয়ম মেতাবেক খেয়া ঘাটে একটি সাইনবোর্ড দিলেও সে সাইনবোর্ড এ ঠিকাদারের নাম ঠিকানা বা মোবাইল নাম্বার নেই।
সাইনবোর্ড থেকে দেখা যায় প্রতিজন প্রতিবার ভাড়া দেওয়ার কথা ২ টাকা। কিন্তু তা মানছে না ঠিকাদারের লোকজন। তারা সবার কাছ থেকে পাঁচ টাকা করে আদায় করছে।
শনিবার সকালে খেয়া পার হচ্ছিলেন জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আল-আজাদ ও কয়েকজন সংবাদকর্মী।
প্রতি যাত্রীর কাছ থেকে পাঁচ টাকা করে আদায় করা হলে সংবাদ কর্মী ও যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে খোয়াঘাটের ভাড়া আদায়কারী তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।
এ খেয়ায় যাত্রী ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল আল-আজাদ। তাঁর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েকদিন যাবত আমরা অনেকের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পাচ্ছি। এটা মোটেই ঠিক নয়। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।