কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা
কানাইঘাট ঝিংগাবাড়ী ইউপির কাপ্তানপুর গ্রামে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে গরুর গোয়ালা ও খড়ের ঘরে অগ্নিসংযোগ সহ প্রায় অর্ধ শতাধিক সুপারি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকায় পরস্পর বিরোধী খবর পাওয়া গেছে। সরজমিনে জানা যায়, কাপ্তানপুর গ্রামের মৃত হোসেন আহমদের পুত্র দিন মজুর ইকবাল উদ্দিন ও একই বাড়ীর তাহির আলীর সাথে বসত বাড়ীর জায়গার মালিকানা নিয়ে তাদের প্রতিবেশি নিকট আত্মীয় মৃত আব্দুল হকের পুত্র জালাল উদ্দিন (৫২) গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। গত ১৫ মার্চ দিবাগত রাত ২টার দিকে বসত বাড়ীতে অবস্থিত দিন মজুর ইকবাল উদ্দিনের গরুর গোয়ালা ও খড়ের ঘরে দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় ইকবাল উদ্দিন তার প্রতিপক্ষ জালাল উদ্দিন সহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে খড়ের ঘর পোড়ানোর অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর ১৯ মার্চ রাতের বেলা ইকবাল উদ্দিনের চাচাতো ভাই তাহির আলীর বসত বাড়ীতে অবস্থিত ৩৫/৪০ টি উটতি সুপারি, কাঠাল গাছ নির্বিচারে কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা। তাহির আলী থানায় জিডি করলে উভয় অভিযোগের পৃথক তদন্ত করেন থানার এসআই সাইদুল ইসলাম। খড়ের ঘর পোড়ানো ও গাছ-পালা কেটে ফেলার ঘটনায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা সঠিক তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। ইকবাল উদ্দিন ও তাহির আলীর অভিযোগ জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে জালাল উদ্দিন ও আজমল হোসেন গংরা রাতের আধারে গোয়ালা ও খড়ের ঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে এবং গাছ-পালা কেটে ফেলেছে। তারা বসত বাড়ীর জায়গা জবর দখল সহ সব সময় গাছ-পালা কেটে নিয়ে যায় এবং পুকুরের মাছ মেরে নিয়ে যায়। অপরদিকে জলাল উদ্দিন ও আজমল হোসেন পক্ষের লোকজনের অভিযোগ তাদের পৈতৃক ও এস.এ মালিক সূত্রে ইকবাল ও তাহির আলীর বসত বাড়ীতে ৯০ শতকের মতো জায়গা তাদের রয়েছে। এসব জায়গা জবর দখল করার জন্য ইকবাল ও তাহির আলী গংরা নিজেরা তাদের খড়ের ঘরে আগুন ও বসত বাড়ীর সুপারি গাছ কেটে ফেলে তাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এবং পূর্বে বিভিন্ন মামলা দিয়ে তাদের হয়রানী করা হয়েছে। অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন খড়ের ঘর পোড়ানু ও সুপারী গাছ কেটে ফেলার অভিযোগের সঠিক তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত পূর্বক দায়িদের বিরুদ্ধ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।