গোলাপগঞ্জে ব্যবসায়ীকে পরিকল্পিত হত্যা, পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ

15

গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জের হেতিমগঞ্জে পরিকল্পিতভাবে বাজারের ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক শাহিনকে (৪২) হত্যা করা হয়েছে। এমন অভিযোগ করেছেন শাহিনের বড় ভাই আব্দুল মালিক লাল। তিনি বলেন, আমার ভাই রবিবার (২১ মার্চ) রাত দেড়টার দিকে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সন্ত্রাসীরা আগ থেকেই ওৎপেতে তার জন্য অপেক্ষা করছিল। লরিপুরের রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করা মাত্র সন্ত্রাসীরা তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে করে পালিয়ে যায়। পরে আমরা তাকে গুরুতর অবস্থায় সিলেটে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো বলেন, যে জায়গায় আমার ছোটভাই শাহিনকে খুন নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে এই স্থানে আগেও ছিনতাইসহ অনেক ঘটনা ঘটেছে। আর যেন এভাবে আর কোন ভাই তাদের ভাই না হারায়, আর যেন কোন মায়ের বুক এভাবে খালি না হয়। আমি আমার ভাই খুনের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে এলাকার কয়েকজন জানান, শাহিন মৃত্যুর পূর্বে পরিবারের কাছে অনেক তথ্য দিয়ে গেছে। এলাকাবাসী আরো বলেন, এই স্থানে একটি চক্র অনেক দিন থেকেই ছিনতাই করে আসছিল। গত কয়েকদিন আগেও এই স্থান থেকে এক যুবককে হাত পা বেধে টাকা মোবাইল নিয়ে যায়। এর আগেও এই স্থানে গ্রামের অনেকেই ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে নিহত শাহিন আহমদ সোচ্চার ছিলেন।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশিদ চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা সিএনজি অটোরিক্সার চালক ও আরো একজনকে আটক করেছি। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। খুব শিগগিরই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হবে এবং জড়িতদের পুলিশ গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এদিকে সোমবার বিকেলে ময়না তদন্ত শেষে শাহিনের লাশ গ্রামে আনা হয়। এরপর বাদ আসর হাজীপুর পূর্ব লরিফর জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়। জানাযায় হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, রবিবার দিবাগত (২২ মার্চ) রাত ১টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের লরিপুর গ্রামের সড়কে দুর্বৃত্তরা লরিপুর গ্রামের মরহুম আব্দুল হকের ছেলে যুবলীগ নেতা এহতেশামুল হক শাহিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে খুন করে পালিয়ে যায়। নিহত শাহিন ওই রাতে ঢাকা থেকে জরুরী কাজ শেষ করে সিলেট থেকে সিএনজি যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। গ্রামে আসামাত্র কয়েজন সন্ত্রাসী কলাগাছ ফেলে রাস্তার গতি রোধ করে। এ সময় শাহিনের সাথে সন্ত্রাসীদের ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা শাহিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে চালক ও পরিবারের সহযোগিতায় তাকে দ্রুত ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।