বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
করোনা ভয় উপক্ষো করে ধান কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষক। প্রতি বছরের মত এবারো স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে ধান কাটা-মাড়াই। বছরের একমাত্র বোর ফসল ঘরে উঠানোই মূল লক্ষ্য হাওর পারের হাজারো কৃষকের। তাইতো করোনা ভয় উপক্ষো করে পরিবারের সবাই মিলে একসাথেই যোগ দিচ্ছেন বৈশাখী কাজে। এ চিত্র উপজেলার সকল হাওরে। চলমান করোনা মোকাবেলায় যেখানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন সেখানে কাছাকাছি থেকেই প্রতিটা পরিবারের ছেলে-বুড়ো সবাই মিলে ব্যস্ত রয়েছেন ধান কাটা-মাড়াইয়ে। প্রতিটি পরিবারের কাছে ধান কাটা মাড়াই ও ঘরে তোলাই মূল লক্ষ্য। তাই করোনার কোন প্রভাব পড়ছে না হাওরপারের গ্রামগুলোতে।
উপজেলার শনির হাওর পার উজান তাহিরপুর গ্রামের সামনে ধান মাড়া খলাতে গিয়ে দেখা যায় এ চিত্র। প্রতিটা পরিবারের লোকজন পাশা-পাশি কাছাকাছি থেকে ধান কাটা-মাড়াইড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেহ ধান মাড়াই মেশিনে ধানের মুটি দিচ্ছেন,কেই ধান উড়াচ্ছেন, কেউ খরখুটু নাড়ছেন।
সে সময় কথা হয় ম্যধ তাহিরপুর গ্রামের কৃষক রফিক মিয়ার সাথে। তিনি বলেন করোনা আতংকে থাকালে ধান কাটা মাড়াই দেয়া যাবে না। ঘরে ফসল তোলতে হবে। ঘরে ফসল উঠলে বছরের খাদ্য নিশ্চিত হবে।
অপর এক কৃষক রিয়াদ মিয়া তিনি, ধান মাড়াই মেশিন চালাতে চালাতে বলেন, ইচ্ছে করলেও অনেক কাজ দূর থেকে করা যায় না, পাশাপাশি কাছাকাছি থেকেই করতে হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান উদ দৌলা বলেন, ঝুঁকি নিয়ে কৃষকরা ধান কাটা মাড়াই করছেন। আমরা কৃষকদের বলেছি যতটুকু পারেন দূরত্ব নিশ্চিত করে কাজ করেন। বোর ফসল ঘরে উঠানোটার আমাদের চ্যালেঞ্জ বলে তিনি জানান।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী বলেন, করোনা আতংকের মধ্যেও অনেক কাজ করতে হবে। করোনার প্রভাবে বিশ^ব্যাপী খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। এ অবস্থায় একটু রিস্ক নিয়ে হলেও বোর ফসল কাটতে হবে।