মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকে শাহপরাণ থানাধীন ইসলামপুরে মোহাম্মদপুর নূরপুর আবাসিক এলাকা থেকে অভিযান শুরু করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন সিলেট জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মোদাছির বিন-আলী। এ সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সিলেটের জালালাবাদ গ্যাসের অধিককৃত ভূমিতে অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর, বাড়ী, দোকান কোঠা সরিয়ে নেয়ার জন্য একাধিকবার নোটিশ দেয়া হলেও কর্ণপাত করেননি মালিকরা। নোটিশের পাশাপাশি মৌখিকভাবে অবগত করা হলেও তারা তা আমলে নেননি। কোন উপায় না পেয়ে গ্যাস লাইনের উপর ঝুঁকিপূর্ণ দোকান বাড়িঘর উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড অভিযান শুরুর আগে জালালাবাদ গ্যাসের লোকজন গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে বসতবাড়ী স্থাপিত উচ্ছেদ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডিজিএম আমিরুল ইসলাম বলেন দেবপুর-কুমারগাঁও উচ্চ চাপ গ্যাস পাইপ লাইনের পাশাপাশি ইসলামপুরে মোহাম্মদপুর,নূরপুরসহ পাইপ লাইনের পাশাপাশি আবাসিক এলাকায় জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণকৃত কয়েক শতক ভূমি রয়েছে । তিনমাস আগে তাদেরকে নোটিশ দেয়া হলে তারা তা আমলে নেননি। এমনকি নিয়ম না মেনে তারা বসতবাড়ী করেছেন সীমানা প্রাচীর দিয়ে এগুলো সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ ও বেআইনী। তাদেরকে বারবার মৌখিকভাবে বলা সত্ত্বেও অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করেননি। তাই আজ ইসলামপুর থেকে অভিযান শুরু হয়েছে এখন থেকে ক্রমান্বয়ে সিলেটে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানের সময় জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে বসতবাড়ী স্থাপিত উচ্ছেদ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির আহবায়ক জিএম কন্সট্রাকশন সুয়েব আহমদ মতিন জানান, গ্যাস নিরাপত্তা আইনে রয়েছে উচ্চ চাপ বিশিষ্ট গ্যাস পাইপলাইনের উভয় পাশে ন্যূনতম ১০ ফুট করে মোট ২০ ফুটের মধ্যে কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ করা বিধি বহির্ভূত। এছাড়া সরকারের অগ্রধিকার প্রকল্প শেখ মুজিব হাইটেক পার্কে গ্যাস সরবরাহের কাজ চলমান। সেজন্য দেবপুর-কুমারগাঁও উচ্চ চাপ গ্যাস পাইপলাইনের পাশাপাশি আরও একটি উচ্চ গ্যাস পাইপলাইনের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এ উচ্ছেদ অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে বলে জানান ।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে বসতবাড়ী স্থাপিত উচ্ছেদ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির আহবায়ক জিএম কন্সট্রাকশন সুয়েব আহমদ মতিন, কমিটির সদস্য জি এম মার্কেটিং একে এম সামসুল আলম শাহীন, কমিটির সদস্য ও ব্যবস্থাপক একে এম জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, কমিটির সদস্য ব্যবস্থাপক আব্দুল মুকিত, কমিটির সদস্য সচিব ডিজিএম আমিরুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ডিজিএম মোঃ আব্দুল হক, ডিজিএম নাজমুল ইসলাম চৌধুরী, উপ- ব্যবস্থাপক লিয়াকত আলী গাজীসহ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। বিজ্ঞপ্তি