একে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ দিরাই উপজেলা শাখার উদ্যোগে সোমবার দিরাই স্টেডিয়াম মাঠে দিনভর শানে রিসালত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ দিরাই উপজেলা শাখার সভাপতি শায়েখ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুখতার হোসেন চৌধুরীর পরিচালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় হেফাজতের আমীর আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আল্লামা নুরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্নমহাসচিব আল্লামা জুনাইদ আল হাবীব, যুগ্নমহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক, মাওলানা নাছির উদ্দীন মনির, কেন্দ্রীয় সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাবুনগরী বলেন, আমরা মুসলমান, আমাদের সংবিধান ইসলাম, আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ (স.)। আমাদের নবী হচ্ছেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। সুতরাং কেউ যদি নবীর শানে রিসালত নিয়ে কটুক্তি করে বা নবীর শানে বেয়াদবী করে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদন্ড। আমরা সরকারের কাছে এ দাবি জানাচ্ছি। মুসলিম দেশ হিসেবে সরকারকে এ আইন কার্যকর করতে হবে। অন্যথায় হেফাজতে ইসলাম কঠোর আন্দোলনের ডাক দিবে, আর এ আন্দোলনে শরীক সকল মুসলমানদের নৈতিক দায়িত্ব। আল্লামা মামুনুল হক বলেন, পবিত্র কুরআন শরীফে আল্লাহ পাক আমাদের প্রিয়নবীকে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী বলেছেন, সুতরাং নবীর শানে রিসালত নিয়ে কেউ কটুক্তি করলে মুসলমানরা সেটা সহ্য করতে পারবে না। প্রকৃত নবী প্রেমীরা তার দাঁত ভাঙা জবাব দিবে। তিনি বলেন যে নবী ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে গিয়ে তায়েফের ময়দানে রক্ত দিয়েছেন, ওহোদের প্রান্তরে দান্দান মোবারক শহীদ করেছেন, সে নবীর উম্মত হিসেবে আমরা শানে রিসালত কায়েম করতে সকাল উম্মতে মোহাম্মদী ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো, নবীর শানে রিসালতের কথা বললে নাস্তিক মুরতাদদের চুলকানি শুরু হয়ে যায়। নবীর শানে কটুক্তিকারীদের শাস্তি হবে মৃত্যুদন্ড। আর আইন পাস করতে আমরা প্রধানমন্ত্রী সহ কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন হেফাজতে ইসলাম আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পায় না, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন কায়েম করতে সকল ভীতিকে উপেক্ষা করে ইনশাআল্লাহ এগিয়ে যাবে। সম্মেলনে বক্তারা রাখেন জেলা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ।
সকাল ১০টায় সম্মেলন শুরু হলেও এর আগেই স্টেডিয়াম মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। দুপুর গড়াতেই কলেজ রোড, বাগবাড়ী ও ভরারগাঁও রোড জনসমুদ্রে পরিণত হয়। পেিরবশ শান্ত রাখতে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীদের কঠোর পরিশ্রম করেত হয়।