জগন্নাথপুরে গভীর ডহর শুকিয়ে মাছ ধরায় হুমকির মুখে বেড়িবাঁধ

17
জগন্নাথপুরে ডহরে ধসে পড়ছে বাঁধের মাটি।

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে গভীর ডহর শুকিয়ে মাছ ধরার কারণে আশপাশ এলাকা ধসে পড়ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নলুয়ার হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ।
১৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সরজমিনে দেখা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের বেতাউকা গ্রামের স্লুইচ গেইটের পাশে ১৫নং পিআইসি এলাকায় প্রায় ৫০/৬০ ফুট গভীর একটি ডহর পানির মেশিন দিয়ে সেচে শুকিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। তখনও ডহরের তলায় কয়েক ফুট পানি রয়েছে। এ পানির মধ্যেও বড় জাল দিয়ে মাছ ধরা চলছে। এলাকার জুবেল চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি এ ডহর শুকিয়ে মাছ ধরছেন।
এদিকে গভীর ডহর শুকিয়ে যাওয়ার কারণে বেড়িবাঁধের অংশ সহ আশপাশ এলাকা ভেঙে ও ধসে ডহরে পড়ে যাচ্ছে। যদিও বেড়িবাঁধের এ অংশে এবার এখনো মাটি কাটা হয়নি। পুরনো স্থানটি ধসে পড়ছে ডহরে। এখানেই এবার ১৫নং পিআইসি কমিটির মাধ্যমে বেড়িবাঁধ নির্মাণ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ধসে পড়ার কারণে বাঁধ নির্মাণ সম্ভব হবে না।
এ সময় স্থানীয়দের মধ্যে অনেকে জানান, ভেঙে যাওয়ার কারণে এবার এখানে বেড়িবাঁধ হবে না। অন্য দিকে সরিয়ে নতুন করে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। এ ব্যাপারে বেতাউকা গ্রামের জুবেল চৌধুরী বলেন, এ ডহর হচ্ছে আমাদের মালিকানা জায়গা। যে কারণে মাছ ধরার জন্য শুকিয়েছি। এবার তেমন মাছ পাওয়া যায়নি। এখানে প্রতি বছর ভাঙন হয়। এবার পানির স্রোতে গভীর ডহর হয়ে গেছে। যে কারণে পার ভেঙে পড়ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে ভাঙলেও একটু সরিয়ে বেড়িবাঁধ দেয়া যাবে।
১৫নং পিআইসির দায়িত্বে থাকা স্থানীয় ইউপি সদস্য জুয়েল মিয়া জানান, ডহরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে বাঁধ। এখানে আর বাঁধ নির্মাণ করা যাবে না। নতুন আরেকটি প্রকল্প লাগবে। যা দিয়ে অন্য দিকে সরিয়ে বাঁধ দিতে হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা বেড়িবাঁধ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।