তাহিরপুরে অবৈধ পাথর উত্তোলনের ছবি তোলা নিয়ে সাংবাদিককে গাছে বেঁধে নির্যাতন

34
সাংবাাদিক কামাল হোসেন।

বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
যাদুকাটা নদীতে অবৈধ পাথর কোয়ারীর ছবি তুলতে গিয়ে সংঘবদ্ধ পাথর খেকোদের রাম দায়ের আঘাতে এক সাংবাদিক আহত। পরবর্তীতে গাছে বেঁধে তাকে নির্যাতন। আহত সাংবাদিক দৈনিক সংবাদের তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি কামাল হোসেন। তিনি তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক। সাংবাদিক কামাল হোসেন তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তার অবস্থা আশংকাজনক বিধায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
এলাকাবাসী ও আহত কামাল হোসেন জানান, সোমবার দুপুরে যাদুকাটা নদী তীরে ৬০ থেকে ৭০টি পাথর কোয়ারী তৈরী করে একদল পাথর খেকো পাথর উত্তোলন করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে যাদুকাটা নদী তীরে তথ্য সংগ্রহ ও ছবি তুলতে যাই। সে সময় নদীতে ওৎপেতে থাকা অবৈধ পাথর কোয়ারীর মালিক বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামের মাহমুদুল হাসান, দ্বীন ইসলাম ও রইছ উদ্দিন তাকে মার ধর করে। এক পর্যায়ে তাদের হাতে থাকা দেশী অস্ত্র রাম দা দিয়ে মাথায় কূপ মারে। সেই সাথে হাতে থাকা ক্যামেরা, মোবাইল ফোন ও ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ পাথর খেকোরা। পরবর্তীতে তাকে নদী থেকে হাত পা বেঁধে নদী তীরবর্তী ঘাঘটিয়া চকবাজারে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে বলে জানান সাংবাদিক কামাল হোসেন।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে তাহিরপুর থানার বাদাঘাট ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে কামাল হোসেন এর আত্মীয় স্বজন রা তাকে বাদাঘাট ক্যাম্প হতে চিকিৎসার জন্য তাহিরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসা শেষে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমন বর্মন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
বাদাঘাট ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান বলেন, সাংবাদিক কামাল হোসেনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাদাঘাট ক্যাম্পে নিয়ে আসি। পরে তার স্বজন চিকিৎসার জন্য তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ বলেন, নদীতে বালি পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় কেউ যদি কোয়ারী তৈরী করে পাথর উত্তোলন করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।