দক্ষিণ সুরমায় মোবাশ্বির হত্যার ঘটনার মুল রহস্য উদঘাটন হয়নি, স্ত্রী গ্রেফতার

14

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমার সালিশ ব্যক্তিত্ব আব্দুল হক মোবাশ্বিরকে হত্যার অভিযোগে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার বেলা আড়াইটায় উপজেলার চান্দাই থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেল ৫টার দিকে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তবে ৩ দিনেও এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত মোচ্ছা: পান্না বেগম (১৯) দক্ষিণ সুরমার চান্দাই মিলিবাড়ীর রবিউল আলমের মেয়ে ও নিহত আব্দুল হক মোবাশ্বিরের দ্বিতীয় স্ত্রী। ধৃত পান্না বেগমের মুল বাড়ি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার তেলপাই গ্রামের রবিউল আলমের মেয়ে। এর আগে মোবাশ্বিরের মৃত্যুর ঘটনায় তার বড় ভাই মুহিবুল হক দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার নং- ২৪ (২৬-০৯-২০২১)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত আব্দুল হক মোবাশ্বিরের মালিকানাধিন হাউজিং প্রকল্পের সবজি বাগান দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করেন জমির মিয়া। শনিবার আসরের নামাজের পর তিনি হাউজিং এসে দেখতে পান ভেতর থেকে গেইট লাগানো। তখন জমির মিয়া গেইটের নিচ দিয়ে হাত ঢুকিয়ে সিটকিনি খুলে ভেতরে প্রবেশ করে টিনশেডের ঘরে গিয়ে দেখতে পান মোবাশ্বির ঘরের মেজেতে পড়ে আছেন। জমির মিয়া বিষয়টি মোবাশ্বিরের ছোট ভাই শামছুল হককে জানালে তিনি ঘটনাস্থল আসেন। এরপর রাত ৮টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল তৈরি করে এবং রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। নিহত মোবাশ্বির দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার সিলাম শেখপাড়ার মৃত ফজলুল হকের পুত্র।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টার মধ্যে দক্ষিণ সুরমার ধোপাঘাটস্থ ময়ুরকুঞ্জ কমিউনিটি সেন্টারের পার্শ্ববর্তী আব্দুল হক মোবাশ্বিরের মালিকানাধীন হাউজিং প্রকল্পে টিনশেড ঘরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের মুখপাত্র এডিসি বি.এম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, নিহত মোবাশ্বিরের মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত বলা যাবে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি কাজ করছে বলে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান।
উল্লেখ্য, ‘হত্যা’র শিকার আব্দুল হক মােবাশ্বির সিলাম শেখপাড়ার মৃত ফজলুল হক কন্ট্রাক্টারের পুত্র। তিনি লন্ডন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবেদ রাজা ও সিলেট জেলা যুব দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম তালাত আজিজের মেজো ভাই।