কাজিরবাজার ডেস্ক :
সিলেটের রক্ষণশীল এলাকা হিসাবে পরিচিত জকিগঞ্জের নারীরা এবার ভোটের লড়াইয়ে পুরোদমে মাঠে নেমেছেন। ইতিপূর্বে কোনো নির্বাচনেই তারা এতটা সরাসরি ভোটের মাঠে নামতে দেখা যায়নি। বিগত নির্বাচনেও দেখা গেছে, নারী প্রার্থীদের পক্ষে তাদের স্বামী-পুত্র আত্মীয় পরিজন নির্বাচনী কাজে সরব ছিলেন। নারী প্রার্থীরা নির্বাচনের আগে পত্রিকায় ছবি পর্যন্ত ছাপাতে রাজি হননি। এবার তার ব্যক্তিক্রম চিত্র দেখা যাচ্ছে। পোস্টারে দিয়েছেন নিজের ছবি। মাঠে ময়দানে জোরে শোরে চালাচ্ছেন প্রচার প্রচারণা। পুরুষ কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাইকিং, গণসংযোগসহ কোন অংশেই পিছিয়ে নেই সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
নির্বাচিত হলে পৌরসভার উন্নয়নের তাদের পরিকল্পনার কথা জানাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে। কেউ কেউ লিফলেট প্রচারপত্র বিলি করে উন্নয়নের কথা তুলে ধরছেন। কনকনে শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকে গভীররাত পর্যন্ত চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী এলাকায়। সালাম আদাব আর কুশল বিনিময়ের প্রতি রাখছেন বিশেষ নজর। জানাচ্ছেন প্রত্যাশার কথা। কেউ কেউ অতীতের ভুল ত্রুটির জন্য ক্ষমা চাইতেও কার্পণ্য করছেন না। ১ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী নারী নেত্রী জোসনা খানম বলেন, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নের নারীরা জেগেছেন।
জকিগঞ্জের নারীদের পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। ২ নং ওয়ার্ডের মনারা বেগম বলেন, পর্দার মধ্যে থেকেও জনসেবা করা ধর্মে স্বীকৃত। এই সত্য বুঝতে পারার পরেই জকিগঞ্জের নারীরা নিজেদের অধিকারের প্রশ্নেই মাঠে নেমেছেন। ২ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী, দিলওয়ারা বেগম বলেন, নারীদের অধিকার আদায়ে নারীদেরই ভূমিকা রাখতে হবে। এমন চিন্তাধারা থেকেই ভোটে অংশ নিয়েছেন।
সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর সুনন্দা শুক্লা ‘অটোরিক্সা’, জোছনা খানম ‘আনারস’, তাছনিমা আক্তার জোসনা ‘জবাফুল’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর জাহানারা বেগম ‘আনারস’, মনারা বেগম ‘জবা ফুল’ দিলওয়ারা বেগম ‘অটোরিক্সা’, রোসনা আক্তার ‘চশমা’, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর সালেহা বেগম ‘চশমা’ রীনা আক্তার ‘আনারস’, প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৩০ জানুয়ারীর পৌরসভা নির্বাচনে পুরুষ ৬হাজার ৩ জন এবং নারী ৬ হাজার ৩৪২ জন ভোটার রয়েছেন। অনগ্রসর প্রশ্চাদপদ গ্রাম্য কাঠামোর পৌরসভার বিপুল সংখ্যক নারীর উন্নয়নে নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিরা বিশেষ ভূমিকা রাখবেন বলে আসা করছেন পৌরবাসী।