কাজিরবাজার ডেস্ক :
জঙ্গিবাদে জড়িয়েছিলেন শওকত। পরে বিয়ে করে স্ত্রীকে সে পথে অনুপ্রাণিত করেন। এক সময় দু’জনই জড়িয়ে পড়েন জঙ্গিবাদে। আর এ জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ায় দু’জনই পরিবার থেকে হয়ে যান বিচ্ছিন্ন। নষ্ট হয়ে যায় সম্পর্ক। তবে শেষ মেষ ফিরে এসেছেন আলোর পথে। তারা হচ্ছেন- শাওন মুনতাহা ইবনে শওকত (৩৪) ও নুসরাত আলী জুহি (২৯)।
বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার কুর্মিটোলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ দম্পতি আত্মসমর্পণ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন অতিথিরা। জানা গেছে, শাওন সিলেটের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে হিযবুত তাহরিরে যুক্ত হন। ২০০৯ সালে তিনি আনসার আল ইসলামে যোগ দেন। ২০১১ সালে মেডিকেল শিক্ষার্থী নুসরাতকে বিয়ে করেন। নুসরাতও জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হন। পরে সংগঠনের নির্দেশনায় তাঁরা ঢাকায় চলে যান। জঙ্গিবাদে জড়ানোয় শাওন ও নুসরাতের সঙ্গে তাঁদের স্বজনদের দূরত্ব তৈরি হয় এবং সামাজিক-পারিবারিক জীবনে অশান্তি নেমে আসে। তবে ধীরে ধীরে তাঁরা তাঁদের ভুল বুঝতে পারেন এবং অবশেষে বৃহস্পতিবার র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা ‘আত্মসমর্পণ’ করেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিলেটের এই দুজনসহ ৯ ‘জঙ্গি’ আত্মসমর্পণ করেছেন। আত্মসমর্পন করা ব্যক্তিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রত্যয় জানানোয় র্যাব বিনা শর্তে তাঁদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে।
সিলেটের শাওন ও নুসরাত ছাড়া বাকি সাতজন হচ্ছেন- কুমিল্লার আবিদা জান্নাত (১৮), আবদুর রহমান সোহেল (২৮), চাঁদপুরের মোহাম্মদ হোসেন ওরফে হাসান গাজী (২৩), মো. সাইফুল্লাহ (৩৭), ঝিনাইদহের মো. সাইফুল ইসলাম (৩১), চুয়াডাঙ্গার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন (২৬) ও মো. সাইদুর রহমান (২২)। র্যাব জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারী নয়জনের মধ্যে ছয়জন জেএমবি ও তিনজন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পুনর্বাসনের ব্যাপারে র্যাবের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তাঁরা ‘আত্মসমর্পণ’ করলেন।