বাজারে আবারো ভোজ্য তেল ও চিনির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে পেঁয়াজ ও আলুর দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসলে ও তেল ও চিনির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। অন্যদিকে শাক-সবজির দাম স্থিতিশীল হলে ও অপরিবর্তিতে রয়েছে ডিম, মাছ-মাংসের দাম। বাজারে পণ্যের দাম উঠা-নামা করায় ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষতা দেখা দিয়েছে।
বর্তমান বাজারে তেল, চাল নিয়ে এমনিতে ভোগান্তির শেষ নেই, সপ্তাহের মধ্যে চিনির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোগান্তি বেড়ে চলেছে। সব ধরনের পণ্যের দাম নিয়ে জনমনে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। যদি ও একধরনের অসাধু ব্যবসায়ীরা মানুষের অতি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কোন ধরনের কারন ছাড়াই বৃদ্ধি করার ফন্দি-ফিকির করে থাকে, তাই এখন ইস্যু সৃষ্টি করেছে তেল-চিনি আমদানি কম হচ্ছে।
সম্প্রতি ব্যবসায়ী চক্র করোনাকে ইস্যু করে চিনি-ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে, তাই ক্রেতাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। সরকার চাল-পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়ার পর ও চালের দাম কমছে না, অথচ ভরা মৌসুমে পেঁয়াজের দাম নিম্ন-মুখি হচ্ছে না। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে সাধারণ ক্রেতারা গত বছরটি চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে, ব্যবসায়ীদের এ দৌরাত্ম্যপনা কবে শেষ হবে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই।
বিশেষজ্ঞমহলের ধারণা আমাদের দেশে ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা রোধে কবে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে, এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের কবল থেকে রক্ষা পাবে ইহাই সকল মহলের প্রত্যাশা। বাজারে খুচরা তেল-চালের দাম ধাপে-ধাপে বৃদ্ধির ফলে গরীব-দিনমজুর মানুষের জীবন যাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। বাজার তদারকির জন্যে যে সব সংস্থা গুলো রয়েছে, তাদের কোনো দায়-দায়িত্ব আছে কি-না তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।