কাজিরবাজার ডেস্ক :
জগন্নাথপুর উপজেলা ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার কাজের গত বছরের চূড়ান্ত বিল পরিশোধ শুরু হলেও চূড়ান্ত বিল পাচ্ছেন জগন্নাথপুর উপজেলার তিন প্রকল্পসহ জেলার ১৮ প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত কৃষক ও জনপ্রতিনিধিরা। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে মিল না থাকায় জেলার ১০উপজেলার ১৮টি প্রকল্পের বিল আটকে আছে। ফলে বিপাকে আছেন প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্তরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর উপজেলায় গত বছর ৪৬টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি(পিআইস) এর মাধ্যমে হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। কাজের শুরুতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে একটি টাস্কফোর্স টিম গঠন করা হয়। টাস্কফোর্স টিম হাওরের প্রকল্প পরিদর্শন করে কাজের শুরুতে প্রি ওয়ার্ক ও কাজের শেষে পোস্ট ওয়ার্ক প্রতিবেদন দেয়। উক্ত প্রতিবেদনে কিছু কিছু প্রকল্পে অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। ফলে আটকে যায় ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার কাজের চুড়ান্ত বিল।
তার মধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলার ৫টি প্রকল্প পরিদর্শন করে তিনটি প্রকল্পে অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ দেওয়া কথা উল্লেখ করা হয়। প্রকল্পগুলো হলো জগন্নাথপুর উপজেলার মইয়ার হাওরের ২৪,২৫,২৬ নং প্রকল্প।
২৪নং প্রকল্পের সদস্য সচিব নুরুল হক জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী ধারদেনা করে আমি শতভাগ কাজ করেছি। আমার প্রকল্পে আট লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তারমধ্যে চার লাখ ২০ হাজার টাকা বিল পাইলেও বাকী টাকা না পাওয়ায় খুব কষ্টে আছি। একই অভিযোগ ২৫ ও ২৬ নং প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত কৃষকদের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জগন্নাথপুর উপজেলার মাঠ কর্মকর্তা উপ সহকারী প্রকৌশলী হাসান গাজী জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রাক্কালে কোন ত্রুটি ছিল না। তারপরও টাস্কফোর্স প্রতিবেদনে কিছু অসঙ্গতি দেখানো হয়। আমরা এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন দিয়েছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী সুহিবুর রহমান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে উচ্চ পর্যায়ের কারগরি টিম এসে হাওর পরিদর্শন করে এসব প্রকল্প ঘুরে দেখে প্রতিবেদন দেয়। আশা করছি শীঘ্রই প্রতিবেদনের আলোকে ১৮টি প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ততরা চূড়ান্ত বিল পেয়ে যাবেন।