আমাদের দেশ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর হলে ও বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান বৃক্ষাদি গুলো পুরোপুরি রক্ষণা-বেক্ষণ ও পরিচর্যার অভাবে প্রায় বিলুপ্তির পথে। শস্য-শ্যামলে ঘেরা দেশটিতে বৃক্ষ অমূল্যে সম্পদ হারিয়ে যাচ্ছে যেভাবে বিভিন্ন জাতের বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে, এক সময়ে দেশ বৃক্ষহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। পাহাড়-পর্বতে অবস্থানকারি নানান ধরনের জীববৈচিত্র বিলুপ্তির পথে। বনাঞ্চলের জীবজন্তু খাদ্যে নিরাপাত্তার অভাবে লোকারণ্যে অবাদে প্রবেশ করছে।
এক-কালের পাহাড়-পর্বত, ছোট-বড় হাজারো টিলায় ভরপুর সিলেটের বনাঞ্চলের পুরোনো স্মৃতি শুধু গল্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ত। কারণ পূর্বের ন্যায় বন-জঙ্গলে পশু-পাখির কোলাহল নেই, নেই বড়ধরনের জাতীয় পশু। এ গুলো রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে বিলীন হয়ে যাচ্ছে, ফলে আমাদের পরিবেশ মারাত্মক ভাবে ভারসাম্য হারিয়ে বিভিন্ন দুর্যোগের শিকার।
এক সময়ে সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলে বন-বাদাড়ে ভরপুর থাকলে ও সময়ের পরিবর্তে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে-সাথে পাহাড়-জঙ্গল আবাদের সাথে গ্রামাঞ্চলের বনাঞ্চলের ভূমিটুকু যেমন রক্ষা হচ্ছে না, তেমনি খাদ্য পণ্যে উৎপাদনের জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমানে মৎস্য উৎপাদনের লক্ষ্যে ধানী জমিতে মৎস্য খামার করে ধান উৎপাদনে বিঘ্নিত করা হচ্ছে। যেমন খাদ্য-শস্য উৎপাদনের পরিমান দিন-দিন হ্রাস পাচ্ছে, খাদ্যাভাব দেখা দিচ্ছে। তেমনি জীব-জন্তুর আবাসস্থলের অভাবে ছড়িয়ে পড়তে হচ্ছে লোকালয়। পাশাপাশি দিন-দিন পশ-পাখির অভয়ারন্য হারিয়ে যাওয়ায় পশু-পাখি বিলুপ্তির পথে। যা পরিবেশের জন্য মোটেই উপযোগী নয়।
এ অবস্থায় পরিবেশ রক্ষায় সকলকে উদ্যোগী হওয়া জরুরী