কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
বছরের প্রথম দু’দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়ার কথা থাকলেও মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যের একটি বিষয়ে বই পেয়েছে। নতুন বছরের পহেলা জানুয়ারী শুক্রবার উপজেলার সবক’টি বিদ্যালয়ে শুধুমাত্র সপ্তম শ্রেণিতে ৫টি করে বই দিলেও অন্যান্য শ্রেণিতে একটি বিষয়ে বই বিতরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি করোনা মহামারিসহ নানাবিধ সমস্যায় এবছর যথা সময়ে বিনামূল্যের সবগুলো বই আসতে না পারায় বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে সবগুলো বই তুলে দেয়া সম্ভব হয়নি। গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ছুটি আগামী ১৬ জানুয়ারী পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। কমলগঞ্জে ৬ষ্ঠ, অষ্টম ও নবম শ্রেণির জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং সপ্তম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজীসহ পাঁচটি বিষয়ে বই আসে। নতুন বছরে বই সংগ্রহের জন্য বিদ্যালয় সমুহে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল পর্যাপ্ত। তবে সবগুলো বই আসতে না পারায় শিক্ষকরা সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে অন্তত একটি করে বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছেন।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, নতুন বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীরা সবগুলো বই হাতে পাওয়ার কথা থাকলেও বিদ্যালয়ে গেলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির একটি বিষয়ে বই দিয়ে বিদায় দিয়েছেন। আবার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রদের পাঁচটি বিষয়ে বই দেয়া হয়েছে। তারা আরও বলেন, গত বছরের প্রথম দিনে প্রায় সবগুলো বই পাওয়া গেছে। সেজন্য শিক্ষার্থীরা প্রথম দিনেই আগ্রহ নিয়ে বিদ্যালয়ে আসে। তবে সবগুলো বই না পাওয়ায় তাদের সে আগ্রহ দেখা যায়নি।
কমলগঞ্জ মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনেন্দ্র কুমার দেব, শমশেরনগর এএটিএম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিহির ধর চৌধুরী, হাজী মো. উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সালাহ উদ্দীন তরফদারসহ শিক্ষকরা জানান, আমরা ৬ষ্ঠ, অষ্টম ও নবম শ্রেণির জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং সপ্তম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজীসহ পাঁচটি বিষয়ে বই পেয়েছি এবং সেগুলোই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করছি। তবে শীঘ্রই অন্যান্য সকল বই চলে আসবে।
পতনউষার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘গত বছরের কিছু বই রক্ষিত থাকায় আমরা সেগুলো যুক্ত করে শিক্ষার্থীদের পুরো বই দিতে সক্ষম হয়েছি।’
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুন্নাহার পারভীন একটি বিষয়ে বই আসার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘যেসব বই আসছে সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে। তবে আরও বই এসেছে। এগুলো শীঘ্রই বিতরণ করা হবে।’