স্পোর্টস ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের সেরা ম্যাচটি বোধয় দেখা হয়ে গেলো। নাজমুল হোসেন শান্ত’র ঝড়ো সেঞ্চুরিতে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ টার্গেট দিয়েও রক্ষা হলো না মিনিস্টার গ্রপ রাজশাহীর। ২২১ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেট হাতে রেখেই দারুণ জয় পেলো ফরচুন বরিশাল।
বরিশালের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে রাজশাহী। ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করেন নাজমুল হাসান শান্ত ও আনিসুল ইসলাম ইমন। শান্ত কিছুটা ধীর শুরু করলেও থিতু হয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন ইমন। দুই ব্যাটসম্যানের পাল্লা দিয়ে রান তোলার সময়ে পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে।
রাজশাহীর দুইজন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানই অর্ধশতক হাঁকান। মাত্র ২৫ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন ইমন, যা বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে দ্রুততম অর্ধশতক। অপরপ্রান্তে শান্ত অর্ধশতক পূর্ণ করেন ৩২ বলে। দুইজনের বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলার সাথে এগিয়ে যেতে থাকে রাজশাহী। ১০ ওভারেই দলীয় শতক পূর্ণ করেন তারা।
১৩১ রানের এই রেকর্ড জুটি ভাঙেন সুমন খান। মাত্র ৩৯ বলে ৬৯ রান করে বিদায় নেন ইমন। আফিফের এক দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরে যেতে হয় তাকে।
ইমন ফিরলেও রাজশাহীর রান তোলার ধার মোটেও কমেনি। রনি তালুকদারকে সাথে নিয়ে দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন অধিনায়ক শান্ত। ব্যক্তিগত ১৭ রানে জীবন পান রনি। তবে পরের ওভারেই বোলার সুমনের এক উড়ন্ত ফিরতি ক্যাচে সাজঘরে ফিরতে হয় রনিকে। ঠিক পরের বলেই শেখ মেহেদী হাসানকে রান আউট করেন বোলার সুমন। রনি ১২ বলে ১৮ ও মেহেদী ১ বলে ০ রানে ফিরে যান।
একপ্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। ৫২ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন তিনি। দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসাবে টি-টোয়েন্টিতে একাধিক সেঞ্চুরির মালিক হলেন তিনি।
৫৫ বলে ১০৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন শান্ত। তার ইনিংসে ছিল ১১টি ছক্কা ও ৪টি চার।
নির্ধারিত ২০ ওভারে রাজশাহী পেয়েছে ২১৪ রানের সংগ্রহ, যা এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
বরিশালও উড়ন্ত শুরু পায় সাইফ হাসান ও তামিম ইকবালের ব্যাটে। পাওয়ারপ্লেতে আগের ইনিংসের রেকর্ড ভেঙে ৬৭ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। উড়ন্ত সূচনা এনে দেওয়া সাইফ হাসান ২টি চার ও ছক্কায় ১৫ বলে ২৭ রান করে সাইফউদ্দিনের শিকারে পরিণত হন। তারপরে বরিশালকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন।
৩৪ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম। অপরপ্রান্তে ২৫ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন ইমন। ফিফটি করার পর ইমনের রান তোলার গতি আরও বৃদ্ধি পায়। তবে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। ৩৭ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৫৩ রান করেন তিনি। ইমন ও তামিমের জুটি হয়েছিল ৫৩ বলে ১১৭ রানের। ৪২ বলে সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন ইমন।