শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব

6

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করে এসেছে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে একাত্তরে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চেয়েছে। বিপুল বৈরিতা ও অপশক্তির আস্ফালনের ভেতর স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির অবিচল সংগ্রাম শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয়েছে দেশের অকুতোভয় জনতার সহযোগে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বিশ্বসভায় বাংলাদেশের গৌরবদীপ্ত অবস্থান। বিজয়ের মাসে এই অগ্রযাত্রা ও সাফল্যের আরেকটি স্বীকৃতি এলো কমনওয়েলথের মহাসচিবের কাছ থেকে। লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও কমনওয়েথ সচিবালয়ের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা সভার পর এক এক্সক্লুসিভ ভার্চুয়াল সাক্ষাতকারে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড বাংলাদেশের বিগত এক দশকের ‘অসামান্য অর্জনের’ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে এই উন্নয়নের জন্য তাকে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের এই অসামান্য অর্জনের পুরো কৃতিত্বই তার একার।’
কমনওয়েলথের এই শীর্ষ কর্মকর্তা যথার্থই বলেছেন যে, মিয়ানমারে নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা তাদের জন্মভূমি ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর বোঝা সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী চলমান ভয়াবহ মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশ যেভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন নিশ্চিত করেছে তা থেকে বর্তমান বিশ্বের অনেক নেতারই শিক্ষণীয় রয়েছে। মহাসচিবের মূল্যায়ন বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশের নেতা হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব থেকে আমরা এই নির্দেশনাই পাই যে, মানবতার বিনিময়ে উন্নয়ন অর্থহীন আর এই ধরনের দিকনির্দেশনাই প্রকৃত নেতৃত্বের মূল চাবিকাঠি হওয়া উচিত।
ইতোপূর্বে রোহিঙ্গা শণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বিশ্বে বিপুলভাবে প্রশংসিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। চলতি বিশ্ব মহামারীর শুরু থেকেই তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন ইতিবাচক ও জনকল্যাণমুখী উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। শেখ হাসিনা মহামারীর মধ্যেই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বর্তমান বিশ্বের বহু নেতা শেখ হাসিনার দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা নিতে পারেন বলে যে অভিমত তুলে ধরেছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব তা অত্যুক্তি নয়। বিশ্ব পর্যয়ের একজন নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা একদিকে যেমন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন স্বনির্ভরশীলতা ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে, তেমনি জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসসহ নানা বিষয়ে তার উপস্থাপিত প্রজ্ঞাময় উপদেশ বিশ্বকে দিকনির্দেশনা দিতে পারে। দেশবাসীর প্রত্যাশা, আগামীতে সব ধরনের সঙ্কট থেকে স্বদেশকে মুক্ত রাখায় তার নেতৃত্ব বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হবে।