পচা পেঁয়াজের দাম ৫ থেকে ৮ টাকা কমলে ও আলুর দাম কমছে না। ফলে আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ে জনমনে নানা ধরনের গুঞ্জনের শেষ নেই। বাজারে দেদারছে পচা পেঁয়াজের আমদানি হয়েছে। অথচ পেঁয়াজ-আলুর দাম কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যদিও বাজারে পেঁয়াজ ও আলু আগাম উঠার কথা থাকলে তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ -আলু এদেশীয় ফড়িয়া ও মজুদদারসহ এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ীদের আর্থিক ফায়দা লাভের কারণে পেঁয়াজ-আলুর দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে টাকা নিয়ে গেলে ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের খাম-খেয়ালিপনার কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে।
সরকার পেঁয়াজ-আলুর অভাব দুর করতে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ-আলু আমদানি করলে ও ব্যবসায়ীরা দাম কমায়নি। বরং সরকারের নির্ধারিত দামের কোনো তোয়াক্কা না করে, তাদের ইচ্ছেমত পেঁয়াজ-আলুর দাম ক্রেতাদের কাছ থেকে আদায় করে।
বাজারে এখন পচা পেঁয়াজের গন্ধে চলাফেরা করতে গিয়ে নাকে রুমাল দিয়ে চলতে হচ্ছে। অনেক স্থানে পচা পেঁয়াজ ও আলুর বাগাড় দেখে মনে হয়, এ সব পেঁয়াজ-আলু মজুদদার ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দামে বিক্রির লক্ষ্যে গো-ডাউনে জমা রেখে পঁচিয়ে ক্রেতা সাধারণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
বাজারে পেঁয়াজ-আলু আগাম বাজারজাত করার সময় আসলেও এ দুটো পণ্যের দাম না কমার কারণ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এখনও বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই।
দেশে আগাম পেঁয়াজ-আলু উঠার সাথে-সাথেই সরকার এসব পণ্যে নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়। এ ব্যাপারে সরকার কোন প্রকার ত্র“টি করলে দেশীয় পণ্যে গুলো ফড়িয়া ও মজুদদারের চলে না যায়, এর ব্যবস্থা করা ক্রেতা সাধারণের প্রত্যাশা।