কুমারগাঁও গ্রিডে অগ্নিকান্ড, জনদুর্ভোগ

24

সিলেটের কুমারগাঁওয়ের পাওয়ার গ্রিডে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সিলেট মহানগরীসহ আশ-পাশের বাসা-বাড়ী ছাড়া ও শহরতলির সর্বত্র বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। সমস্থ শহরও শহরতলীতে দেখা দেয় স্থবিরতা। সমস্ত শহর অন্ধকারে পরিণত হয়ে পড়ে। দেখা দেয় নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্কাবস্থা।
নগরীসহ আশ-পাশের লক্ষ লক্ষ নাগরিক জীবনে দেখা দেয় হতাশা, সবচেয়ে বেশী পানির অভাব দেখা দেয়। মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় দিকে আকস্মিক ভাবে এ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হয়। মুহূর্তের মধ্যে অগ্নিকান্ডের কুন্ডলী বাড়তে থাকে। এলাকায় আতঙ্ক দেখা দেয়। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার-ব্রিগেডের ৫’টি ব্রিগেড এক সাথে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পাওয়ার গ্রিডে অগ্নিকান্ডের ফলে নগরীর সর্বত্র দেখা দেয় পানির সংকট। পানির জন্য সাধারণ মানুষ হাহকার করতে থাকে। তবে বিভিন্ন টাওয়ার, বস্তিবাসী মানুষের পানি কষ্ট দেখে কে?
কুমারগাঁওয়ের পাওয়ার গ্রিডের অগ্নিকান্ডের কারণে শ্বাসরুদ্ধকর দীর্ঘ প্রায় ৩১ ঘন্টা পর নগরবাসী বিদ্যুতের মুখ দেখে। তবে নগরীর অনেক স্থানে এখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়নি। এখনও অনেক এলাকা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে নগরীর সর্বত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ করা খুবই প্রয়োজন বলে অনেকে মনে করছেন।
১৭ নভেম্বর সকালে সিলেটের কুমারগাঁওয়ের পাওয়ার গ্রিডে ১৩২/৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সরবরাহ উপকেন্দ্রের গ্রিডে অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হয়।এ অগ্নিকান্ডের ফলে প্রায় দু’শ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে অনেকে ধারণা করছেন। এ অগ্নিকান্ডে দু’টি ট্রান্সফরমার পুড়ে গেছে। এ অগ্নিকান্ডের কারণ খুঁজতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, দীর্ঘ দিন যাবত এ কেন্দ্রের অবব্যস্থাপনা, ক্রুটি সমূহ মেরামতের দোহাই দিয়ে বারবার বিদ্যুৎ লাইন বন্ধের ঘোষণা দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে ও কেন্দ্রের ক্রুটি দূর করা হয়নি। তাই এ বিভাগে দক্ষতা ও দায়িত্বে অবহেলার ফসল হিসাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের।
অনেকের মতে; যাদের দায়িত্বের অবহেলার কারণে জনগণকে খেসারত দিতে হচ্ছে, তাদের কঠোর শাস্তির বিকল্প নেই। এসব দুর্নীতিবাজদের শাস্তি হওয়া বাঞ্চনীয় বলে সচেতন মহল মনে করেন।