পুলিশী নির্যাতনে রায়হান হত্যা মামলা ॥ গ্রেফতারের পর এ এসআই আশেক এলাহী ৫ দিনের ও দ্বিতীয় দফায় হারুন ৩ দিনের রিমান্ডে

26
এএসআই আশেক-ই-এলাহীকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে তোলা হয়।

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশী নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিন আহমদ হত্যার দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃত ও প্রত্যাহারকৃত ওই ফাঁড়ির এএসআই আশেক-ই-এলাহীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে এই মামলায় ২৪ অক্টোবর গ্রেফতার হওয়া সাময়িক বহিষ্কৃতকৃত পুলিশ কনস্টেবল হারুনুর রশীদকে দ্বিতীয় দফায় ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টার দিকে সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো: জিয়াদুর রহমান তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে কড়া নিরাপত্তায় এ দু’জনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম জানান, আশেক-ই এলাহীর ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর ৫ দিনের রিমান্ড শেষে হারুনুর রশীদকেও গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে তোলা হয়। আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজী না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় তার আরও ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত এ সময় তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, রিমান্ড চলাকালে এএসআই আশেক এলাহি এবং হারুনুর রশিদকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য উদঘাটন করা হবে। তিনি আরো বলেন, নিহত রায়হান উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগকারী শেখ সাইদুর রহমানকে রিমান্ডে নেয়ার আবদেন করা হবে কি-না এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে পিবিআই।
এরআগে গত বুধবার রাতে নগরীর পুলিশ লাইন্স থেকে আশেক-ই-এলাহীকে গ্রেফতার করে পিবিআই। তিনি বন্দরবাজার ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। রায়হান হত্যার পর তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ১০ অক্টোবর রাতে সোর্সের তথ্যের ভিত্তিতে এএসআই আশেক-ই-এলাহীর নেতৃত্বেই রায়হান উদ্দিন আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয় বলে জানতে পেরেছে তদন্ত সংশ্লিস্টরা। ফাঁড়িতে আনার পর নির্মমভাবে নির্যাতন চালানো হয় রায়হানের উপর। নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে ১১ অক্টোবর ভোরে তিনি মারা যান। গত ২৫ অক্টোবর পুলিশের সেই সোর্স সাইদুর রহমানকেও ৫৪ ধরায় গ্রেফতার করে পিবিআই। এই মামলায় এর আগে পুলিশ কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশীদকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে গত বুধবার ২৮ অক্টোবর টিটুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।