আজ লক্ষ্মী পূজা

59

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আজ লক্ষ্মী পূজা। শাস্ত্র মতে, দেবী লক্ষ্মী ধনসম্পদ তথা ঐশ্বর্যের প্রতীক। এছাড়া উন্নতি (আধ্যাত্মিক ও পার্থিব), আলো, জ্ঞান, সৌভাগ্য, দানশীলতা, সাহস ও সৌন্দর্যের দেবীও তিনি। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসবটিকে ‘আবার কোজাগরী লক্ষ্মী পূজাও বলা হয়। পঞ্জিকা অনুসারে, আজ শুক্রবার রাতে ছাড়াও আগামীকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত এ দু’দিনই বাড়িতে বাড়িতে লক্ষ্মী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
শারদীয় দুর্গোৎসব শেষে প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই পূজা করে থাকেন। এ পূজা কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা নামেও পরিচিত। কোজাগরী শব্দটি এসেছে ‘কো জাগতী’ থেকে। সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস মতে, বছরের সবচেয়ে উজ্জল রাত আশ্বিনের পূর্ণিমা তিথিতে ধনসম্পদ, প্রাচুর্য, সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মী বিষ্ণুলোক হতে পৃথিবীতে নেমে আসেন এবং মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ‘কে জেগে আছো’ প্রশ্ন করেন। তাই লক্ষ্মী পূজা ভক্তদের কাছে কোজাগরী পূজাও। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, পূর্ণিমা রাতে দেবী লক্ষ্মী ধনধান্যে ভরিয়ে দিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে পূজা গ্রহণ করতে আসেন। লক্ষ্মী দেবী সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকবে না ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে। বাঙালি বিশ্বাসে লক্ষ্মীদেবী দ্বিভূজা ও তার বাহন পেঁচা এবং হাতে থাকে শস্যের ভান্ডার। তবে বাংলার বাইরে লক্ষ্মীর চতুর্ভজা কমলে-কামিনী মূর্তিই বেশি দেখা যায়। প্রায় প্রতিটি বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপূজা করা হয়। এ উপলক্ষে হিন্দু নারীরা উপবাস ব্রত পালন করেন।
দুর্গা পূজা শেষ হতে না হতেই হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি ঘরে ঘরে এখন লক্ষ্মী পূজার ধুম পড়েছে। এই পূজা প্রায় সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ করেন, তাই দেশের প্রতিটি বাজার ছেয়ে গেছে পূজার উপকরণে। এই পূজাতে প্রয়োজন হয় ধানের শীষ, কাচা সুপারি, কলাপাতা, কলা গাছের খোল, আলপনাসহ আরও নানা সামগ্রী। মঙ্গলঘট, ধানের ছড়ার সঙ্গেই গৃহস্থের আঙিনায় আজ শোভা পাবে চালের গুঁড়ো আল্পনায় মা লক্ষ্মীর ছাপ। মা লক্ষ্মীর পা আকা হবে বহু বাড়ির প্রবেশপথে।