মাস্ক বাধ্যতামূলক

12

আসন্ন শীতে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের আশঙ্কাকে সামনে রেখে আবারও সবাইকে মুখে মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার মন্ত্রী সভার বৈঠক এবং বিভাগীয় কমিশনারদের সভায় সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এখন থেকে ঘরের বাইরে গেলেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এমনকি মসজিদ-মন্দির-দুর্গাপূজা মন্ডপ, জনসমাবেশ, হাটবাজার, যানবাহন অফিস-আদালত- প্রায় সর্বত্রই মাস্ক পরতে হবে ছোট-বড় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। মাস্ক না পরলে জরিমানা অর্থাৎ অর্থদন্ড করা হবে। এর জন্য প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করা হতে পারে। মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসবে দেশের বিভিন্ন স্থানে। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে ইউরোপ-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়ায় করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এর ঢেউ আসতে পারে বাংলাদেশেও। সুতরাং এখন থেকেই প্রতিরোধ ও সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে সবখানে, সব সময়। সরকার গত জুলাই মাস থেকে মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলেও ক্রমান্বয়ে তাতে শৈথিল্য দেখা দেয়। নাগরিকদের মধ্যে প্রায় সর্বত্র যেন গাছাড়া ভাব পরিলক্ষিত হয়। এমতাবস্থায় সরকার তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সময় এসেছে। মাস্কও এখন সস্তা ও সুলভ হয়েছে। তাই মাস্ক ব্যবহারে কারও অপত্তি থাকার কথা নয়।
এছাড়া পরিবেশ দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে মাস্ক ব্যবহারে কমবেশি অভ্যস্ত। মাস্ক যে ইতোমধ্যে একটি ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে এবং আরও বিচিত্র রূপ ও রঙে আবির্ভূত হবে, পোশাক শিল্পে যোগ করবে আরও একটি নতুন মাত্রা- এ কথা নিশ্চিত করে বলা যায়। ইতোমধ্যে ভিয়েতনামে তৈরি হয়েছে হাতে তৈরি চিত্রবিচিত্র নক্সা ও মোটিফ সংবলিত মাস্ক এবং সে সব রফতানিও হচ্ছে বিদেশে। ভারতে সোনার মাস্কের খবরও মিলেছে। দেশেও এখন তৈরি হচ্ছে রকমারি মাস্ক।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পসহ ফ্যাশন জগতেও মাস্কসহ করোনা প্রতিরোধী সামগ্রী সংযোজিত হয়েছে। আপাত সুসংবাদ এই যে, করোনাজনিত লকডাউনেও দেশের কয়েকটি পোশাক কারখানা করোনা প্রতিরোধী সামগ্রী যেমন- পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, মোজা, জুতা এমনকি জিনসের কাপড় তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশে রফতানি করেছে। আগামীতেও যদি করোনা সঙ্কট চলতেই থাকে তবে এই নতুন শিল্পটির যে বহুল অর্থনৈতিক বিকাশ ও সমৃদ্ধি ঘটবে, এ কথা নিশ্চিত করে বলা যায়। এমনকি দৈনন্দিন জীবনযাপন, চলাচলসহ ফ্যাশনেও সংযোজিত হবে করোনা প্রভাবিত পোশাক পরিচ্ছদ।