মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
২০০ বছরের প্রাচীন মঙ্গলচন্ডী মন্দিরে চলছে ৯ দিনব্যাপী আগাম দুর্গা পূজা। ৯ দিনে দেবীর ৯টি রূপের পূজা করা হবে।
এক সারিতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে দুর্গার ৯টি রূপের ৯টি প্রতিমা। ঢাকের তালে মোহিত হচ্ছে পূজা মন্ডপ। বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা, নিজের ও দেশের মঙ্গল কামনায় দেবীর চরণে অঞ্জলিও দিচ্ছেন ভক্তরা।
গত ১৭ অক্টোবর শনিবার সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ইছামতি চা বাগানের ভেতরে মঙ্গলচন্ডী মন্দিরে ৯ দিন ব্যাপী এই নবদুর্গা পূজাটি দেবী দুর্গার শৈলপুত্রী রূপের পূজা করার মাধ্যমে শুরু হয়।
এভাবে পৌরানিক নিয়ম অনুযায়ী আগামী নবমী তিথি পর্যন্ত ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘন্টা, কুষ্মান্ডা, স্কন্ধমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রী, মহাগৌরী ও সিদ্ধিদাত্রী রূপে পূজা করা হবে।
বাংলাদেশের একমাত্র আগাম দুর্গা পূজা হিসেবে পালন হয়ে আসছে। এবার তাদের দশম আয়োজন।
আগাম দুর্গা পূজা দেখতে আসা সুমিতা দে, অনিমা দত্ত বলেন, শারদীয় দুর্গা পূজা হিন্দু ধর্মালম্বীদের বড় উৎসব। সাধারণত এই পূজাটি ষষ্টি তিথিতে শুরু হয়ে দশমীতে শেষ হয়। কিন্তু এই পূজা মন্দিরে একটু ব্যতিক্রম আয়োজন এই পূজা আমরা দেখতে আসছি।
শ্রী শ্রী মঙ্গলচন্ডী সেবাশ্রম পূজা উদযাপন পরিষদের পরিমল ভৌমিক ও পুরোহিত কাজল চক্রবর্তী জানান, এ দেবস্থলটি সর্বাধিক প্রাচীন স্থাপনা হিসেবে পরিচিত। এখানে রয়েছে মঙ্গলচন্ডী দেবীর থলি। অনেকে শ্রীমঙ্গল নামের উৎপত্তিও এই শ্রীশ্রী মঙ্গলচন্ডীর থলি থেকে হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন। ওই ঐতিহাসিক স্থানটিকে ধরে রাখতে এবার দশমবারের মতো পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেবী দুর্গার ৯টি রূপকে বোঝানোর জন্য মূলত নবদুর্গা বলা হয়। শরৎকালে ৯ দিনে প্রতিদিন দেবী দুর্গার এই ৯ রূপের এক একজনকে পূজা করা হয়। এর আগে ২০১১ সালে এই পূজা এখানে শুরু করেছিলাম।