সিলেট সিটি কর্পোরেশন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন সিলেট ধর্মীয় সম্প্রীতির একটি গৌরবময় অঞ্চল। মসজিদ, মন্দির, গীর্জা সহ প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে এইভাবে গড়ে তোলা হবে যাতে নগরীতে প্রবেশের পর মানুষ বুঝতে পারে সিলেট ধর্মীয় সম্প্রীতির নগরী এর বহি:প্রকাশ ঘটায়। আমাদের মধ্যে কোন বিভাজন বা ভিন্ন কোন দৃষ্টিভঙ্গি নেই। আমরা এ অঞ্চলের সকল মানুষের মধ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি রয়েছে। তিনি সাগরদীঘিরপার মণিপুরী শ্মশানঘাটকে দৃষ্টিনন্দন শ্মশানে ঘাটে পরিণত করার প্রত্যয় ঘোষণা করেন। তিনি সুবিদবাজার ব্রীজ থেকে সাগরদীঘিরপার মণিপুরী শ্মশানঘাট পর্যন্ত ছড়ার দুধারে সোন্দর্য্য বর্ধননসহ শ্মশানঘাটের ব্রীজকে দৃষ্টি নন্দন করার ঘোষণা দেন। তিনি গতকাল সাগরদীঘিরপার মণিপুরী শ্মশানঘাট পরিচালনা কমিটি আয়োজিত সিলেটে মণিপুরী সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় কালে একথা বলেন।
শুক্রবার বিকালে নগরীর লামাবাজারস্থ মণিপুরী রাজবাড়ির শ্রী শ্রী মহাপ্রভুর মন্দিরে সাগরদীঘিরপার মণিপুরী শ্মশানঘাট পরিচালনা কমিটির সভাপতি পঞ্চু সিংহ এর সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দ্বীগেন সিংহের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত শন্তু, কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েক, কবি এ কে শেরাম, অজিত শর্মা। পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি উত্তম সিংহ রতনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৃপেন্দ্র সিংহ, প্রশান্ত সিংহ, সমরেন্দ্র সিংহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সাগরদীঘিরপার মণিপুরী শ্মশানঘাট পক্ষ থেকে শ্মশানঘাট পরিচালনার জন্য মেয়রের মাধ্যমে সিসিকের কাছে হস্তান্তর করেন শ্মশানঘাট পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দ্বীগেন সিংহ। ১৪টি মণিপুরী পাড়ার নেতৃবৃন্দ উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মণিপুরী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এই শ্মশানঘাট তৈরীতে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান বর্তমান মেয়রের অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিন্তে স্মরণ করেন। তাদের অবদান মণিপুরী সম্প্রদায় চিরদিন স্মরণ রাখবে। বিজ্ঞপ্তি