কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাটে ১২ বছরের এক শিশু মেয়েকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় মাওলানা রিয়াজ উদ্দিন নামে এক মসজিদের ইমামকে গ্রেফতার করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে নিজ বাড়ী থেকে এ ইমামকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় কানাইঘাট লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির বাউরভাগ ১মখন্ড গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর পুত্র দুই সন্তানের জনক মাওলানা রিয়াজ উদ্দিন (৩০) দীর্ঘদিন ধরে পাশর্^বর্তী সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের মনোহরটুক জামে মসজিদে ইমামতি করেন। গত ৩ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মসজিদের মক্তবের ছাত্রী সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের পিতাহারা ১২ বছরের ঐ মেয়েকে তার নিজ বাড়ীতে মসজিদের ইমাম মাওলানা রিয়াজ উদ্দিন আরবী শিক্ষা দেওয়ার সময় তার কোলে বসিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শ জায়গায় হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। এ সময় মেয়েটির আর্তচিৎকারে পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন। যৌন নিপীড়নের শিকার মেয়েটির পরিবারের লোকজন গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে বিচার প্রার্থী হলে ঘটনাটি কোন বিচার হয়নি। এ ঘটনাটি জানার পর থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএমের নির্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার মসজিদের এ ইমামকে নিজ বাড়ী থেকে থানার এসআই এসএম মাইনুল ইসলাম গ্রেফতার করেন। ভিকটিম মেয়েটিকে পুলিশ হেফাজতে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসার পর তার জবানবন্দী রেকর্ড করে পুলিশ। এছাড়া মসজিদের ইমাম মাওলানা রিয়াজ উদ্দিন যৌন নিপীড়নের দায় স্বীকারও করেন পুলিশের কাছে। ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান মসজিদের ইমাম মাওলানা রিয়াজ ভিকটিম শিশু মেয়েটিকে গত এক মাস ধরে মসজিদে মক্তবে আরবী শিক্ষা দেওয়ার পর মক্তবের অন্যান্য বাচ্ছাদের বিদায় দিয়ে মেয়েটিকে যৌন নিপীড়ন করতেন। কাউকে এসব ঘটনা না বলার জন্য মেয়েটিকে শাসিয়ে ভয়ভীতি দেখাতেন ইমাম। ঘটনাটি জানার পর ভিকটিম মেয়েটিকে উদ্ধার করে মাওলানা রিয়াজকে আমরা গ্রেফতার করি। মেয়েটির চাচা সোনাতন পুঞ্জি গ্রামের সেলিম উদ্দিন বাদী হয়ে রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ১০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তবে মসজিদের ইমামের আত্মীয়-স্বজনরা জানিয়েছেন তিনি ষড়যন্ত্রের স্বীকার। মহল্লায় ইমাম নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে গ্র“পিয়ের জের ধরে একপক্ষ এ ঘটনাটি সাজিয়েছে।