স্টাফ রিপোর্টার :
জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কুচক্রিমহল লন্ডনে বসে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে বলে দাবি করেছেন জগন্নাথপুরের চিলাউরা-হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আরশ মিয়া। তার দাবি, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে থাকায় রাস্তা সংস্কারের ভুয়া ইস্যু তুলে তারা মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে চায়, তবে জনগণ তাদের এ মিথ্যাচার প্রত্যাখ্যান করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। রবিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে আরশ মিয়া বলেন, তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর অত্যান্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এর আগের মেয়াদেও তিনি নিষ্ঠার সাথে তার ওপর অর্পিত জনগণের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ কারণে প্রবাসী হওয়া সত্ত্বেও তাকে দ্বিতীয় বারের মতো জনগণ ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন।
তিনি দাবি করেন, সামনের নির্বাচনেও এলাকাবাসী আমাকেই চাইবেন এমন পরিস্থিতিতে আমার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারে মেতে উঠেছেন। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে বসে ওই চক্রটি ‘রাস্তার কাজে বাধা দিচ্ছি’ এমন একটি খোঁড়া অভিযোগ তুলে ধরে নলুয়া প্রবাসী সংঘের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
তিনি সত্যতা তুলে ধরে বলেন, ‘চিলাউরা-হলদিপুর ইউনিয়ন নলুয়া ও মইয়ার হাওর বেষ্টিত হওয়ার কারণে বছরের অধিকাংশ সময়েই পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এ কারণে ইউনিয়নের প্রাচীন রাস্তা হচ্ছে রানীগঞ্জ -সালদিগা রাস্তাটি বন্যায় বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সহযোগিতায় কয়েকবার রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গাচোরা অংশ মেরামত ও সংস্কার করান। এছাড়া তার নিজস্ব তহবিল থেকেও বিভিন্ন সময়ে সড়ক সংস্কার করিয়েছেন।’
তিনি বলেন, প্রতিবছরই বেড়িবাঁধের পানির তোড়ে রাস্তা ভেঙে যায়। আর প্রায় প্রতি বছরই এসব অংশ মেরামত করতে হয়। চলতি বন্যার কিছুদিন আগেও রানীগঞ্জ থেকে পঞ্চগ্রাম পর্যন্ত রাস্তায় কংক্রিট ফেলে নিজস্ব তহবিল থেকে মেরামত করা হয়েছে। এর কয়েকদিন পর আবার টমটম চলতে সমস্যা দেখা দেয়ায় ফের ১২ হাজার টাকা ব্যয়ে তা সংস্কার করা হয়। কিন্তু বর্তমানে খারাপ আবহাওয়ার কারণে এই রাস্তার কাজ করানো সম্ভব হচ্ছে না।’
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের মে জুনের দিকে এলাকার কয়েকজন প্রবাসী ও দেশে অবস্থানরত কয়েকজন ব্যক্তি নিজেরা নলুয়া প্রবাসী সংঘ গঠন করে রাস্তার উন্নয়নে স্বজনশ্রী এলাকায় তিন কিলোমিটার মাটি ভরাট কাজ করার উদ্যোগ নেন। এতে আমি খুশি হয়ে তাদের আরও ১০ লাখ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করার প্রস্তাব দেই। কিন্তু তারা আমার টাকা নেবেন না বলে প্রথমে জানান। পরে তারা আমাকে দুই লাখ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করতে বললে আমি তাতে রাজি হই। গত ২৪ জুন মাটি ভরাট কাজের উদ্বোধন করতে গেলে কয়েকটি গ্রামের শতাধিক জনসাধারণের সামনে চিহ্নিত কয়েকজন আমাকে চরমভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরে আমি এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। এই ঘটনার পর আমি জানতে পারি নলুয়া প্রবাসী সংঘের বেশিরভাগ সদস্যই এই সংগঠনের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে। তিনি এসব মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত না হতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মনির উদ্দিন, তালব উদ্দিন, আক্কাস মিয়া, ডা. হিরা মিয়া, সুফি মিয়া, মিজানুর রহমান, আমির উদ্দিন, আরুজ মিয়া, বশির মিয়া, ছালিক মিয়া, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আলাউদ্দিন, আব্দুল কালাম, বাবুল মিয়া, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোছা. সাকিরুন বেগম প্রমুখসহ ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।