বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
“এইবার আমি নির্বাচন ডা করি পরের বার তুই নির্বাচন করছস নে”। ২০১৬ সালে নবম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান খসরুল আলম (স্থানীয় ভাষায়) তার বন্ধু একই গ্রামের ব্যাবসায়ী আলী হায়দারকে উপরোক্ত কথা গুলো বলছিলেন। ততক্ষণে বন্ধু আলী হায়দার শ্রীপুর ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম ঘুরে তার পক্ষে নির্বাচনী জনমত তৈরী করেছিলেন। কিন্তু বন্ধুর আবদারের কাছে শেষতক নিজের চেয়ারম্যান হওয়ার আকাক্সক্ষা বিসর্জন দিয়ে বন্ধু খসরুল আলমকে নির্বাচন করার জন্য সায় দিলেন তিনি। নির্বাচনে খসরুল আলম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা সমর্থিত প্রার্থী আলহাজ¦ আবুল হোসেন খান কে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সে সময়। দীর্ঘ ৫ বছর পর যখন আবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন তখন লোক মুখে আবার একই কথা। আলী হায়দার তো গেল বার বন্ধুর জন্য নির্বাচন ছাড়লো, এবার খসরু নির্বাচন ছাড়বে কি না। শনিবার রিটানিং ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে বন্ধু আলী হায়দারের নির্বাচনী নমিনেশন ফরম দাখিল শেষে নিজে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বর্তমান চেয়ারম্যান খসরুল আলম।
সে সময় কথা হয় চেয়ারম্যান খসরুল আলম এর সাথে। তিনি জানান, ২০১৬ সালে আমি আমার বন্ধুকে বলেছিলাম এ বছর আমি নির্বাচন করি। পাশ ফেইল যা হয় পরবর্তী বছর তুই নির্বাচন করবে।
এ বিষয়ে আলী হায়দার মিয়া বলেন, বন্ধুর কাছে এর ছেয়ে বেশী কি প্রত্যাশা থাকে। আমি অনেক কিছু পেয়েছি।
জনতা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোদাচ্ছির আলম সুবল বলেন, আমরা ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি একে অপেরের জন্য অনেক কিছু ছাড় দেন। এবার নির্বাচনে সেটা আবারও প্রমানিত হলো।
শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তিনি বলেন, এটি বিরল দৃষ্টান্ত। নির্বাচনে আপন ভাই আপন ভাইকে ছাড় দিতে চায় না।