এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনা ॥ আরেক আসামী তারেক গ্রেফতার

10
র‌্যাবের অভিযানে আটক এমসি কলেজে দলবেঁধে ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী তারেক।

স্টাফ রিপোর্টার :
ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ এমসি কলেজের মূল গেইটের সামন থেকে গৃহবধূ তরুণীকে (১৯) তুলে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ঘটনার দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃত আরো এক ধর্ষক ও সন্ধিগ্ধ ২ আসামীসহ ৩ জনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্য রাজন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ৩ আসামীকে নির্যাতিত স্বামীর দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে হাজির করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে রিমান্ড শুনানী শেষে আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
রিমান্ডকৃতরা হচ্ছে, হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার পুত্র বর্তমানে এমসি কলেজ হোস্টেল ৭নং ব্লকের ২০৫ নং রুমের বাসিন্দা শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), শাহপরান থানার শিবগঞ্জ টিলাঘরের মৃত সোনা মিয়ার পুত্র মো: আইনুদ্দিন (২৬) ও বিয়ানীবাজার থানার নাটেরশর গ্রামের মৃত ফয়েজউল ইসলামের পুত্র রাজন মিয়া (২৫)। এর আগের দিনের রিমান্ডকৃতরা হচ্ছে, সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাইপাড়া গ্রামের মো: তাহিদ মিয়ার পুত্র বর্তমানে এমসি কলেজ হোস্টেল সুপারের বাংলো ৫ম ব্লকের বাসিন্দা সাইফুর রহমান (২৮), জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রামের কানু লস্করের পুত্র বর্তমানে টিলাগড় রাজপাড়ার বাসিন্দা অর্জুন লস্কর (২৫) ও সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের ও বর্তমানে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম (২৫)। দায়েরকৃত মামলার এজাহারনামী ৪ আসামীসহ সন্ধিত ২ জন মিলে মোট ৬ আসামী বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছে। রিমান্ডকৃত আসামীরা সবাই একটি রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি খোকন কুমার দত্ত বলেন, গতকাল আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখিত ৩ আসামীর বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানী শেষে আদালত তাদের ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে, গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় ২ নম্বর আসামি তারেকুল ইসলাম তারেককে (২৮) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিট এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৯) এর একটি টিম। সে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের নিসর্গ ৫৭ নং বাসার মৃত রফিকুল ইসলামের পুত্র। বর্তমানে সে মেজরটিলা দিপিকা আবাসিক এলাকার ৫নং বাসার ৩য় তলার বাসিন্দা।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব-৯ এর একটি বিশ্বস্ত সুত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ নিয়ে মহানগর পুলিশের চাঞ্চল্যকর এই মামলায় এজাহারনামীয় ৬ আসামীর মধ্যে ৫ আসামি ও সন্ধিত ২ আসামীসহ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করল র‌্যাব-পুলিশ।