করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাত মোকাবিলায় ইমাম সমাজ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। করোনার আতংক ও ভয় কাটিয়ে উঠতে হবে। সমাজের সকলের আস্থা ও বিশ্বাসের মান্যবর ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন ইমামবৃন্দ, তাই কোভিড ১৯ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিশেষ করে মাস্ক ও হাত ধোয়ার ব্যাপারে ইমামদের স্বঅবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে। করোনাকালের এ সময়ে দেশে রিজার্ভ র অবস্থাখুবই ভালো। গার্মেন্টস সেক্টর সহ অন্যান্য খাত ও যথেষ্ট ভালো অবস্থানে রয়েছে। করোনার ভ্যাকসিন দেশের সকল মানুষের জন্য আনা হবে। সরকার এ ব্যাপারে টাকার সংস্থান করেছে। বঙ্গবন্ধু ইসলামের প্রচার প্রসারের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও মাদরাসা বোর্ড গঠন করেছিলেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন সে লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে। ইমামবৃন্দ পরিকল্পনা মাফিক খুতবা ও বয়ান প্রদান করলে মুসল্লিরা আরো উপকৃত হবেন।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৫ দিনব্যাপী রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটর পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও কৃষিবিদ মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীর পরিচালক আনিসুজ্জামান সিকদার। তিনি তার বক্তব্যে বলেন- ইমামবৃন্দ করোনা সচেতনতার জন্য ইমামবৃন্দ ৭ লক্ষ প্রচারপত্র বিতরণ করেছেন। একটি সংস্থা জরিপ করে প্রমাণ পেয়েছে এতে ৮৪% মানুষের কাছে করোনার প্রচারপত্র বিলি করছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম সমাজ। যা সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছে। সরকার ইমাম সমাজকে যথেষ্ট মূল্যায়ন করে থাকে। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাখেন কৃষিবিদ আনোয়ারুল কাদির। পরে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাষ্টার ট্রেইনার মামুনুর রশীদ। বিজ্ঞপ্তি