ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া গ্রামীণ সড়ক প্রবাসীর উদ্যোগে সংস্কার করা হয়েছে। যান চলাচলে সম্পূর্ণ অনুপযোগি এ সড়কটি সংস্কার হওয়ায় প্রায় দু’মাস বন্ধ থাকার পর আবারো এ সড়ক দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সংস্কার শেষে শুক্রবার বিকেলে এ সড়ক দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যান চলাচল শুরু হয়। ফলে ৩টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার ভুক্তভোগী মানুষের যাতায়াতের পথ স্বাভাবিক হয়ে উঠে। ৩ দফা বন্যায় জাউয়ার লক্ষমসোম- কচুরগাঁও সড়কের আইনাকান্দি ও ঝামক অংশের মধ্যবর্তি প্রায় অর্ধ কিলোমিটার সড়ক ভেঙ্গে যায়। বন্যার প্রবল স্রোতে সড়কের এ অংশটুকু ভেঙ্গে গেলে সড়ক দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে জাউয়াবাজারের সাথে সিংচাপইড় ও ভাতগাঁও ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ হয়ে পড়ে বিচ্ছিন্ন। বন্যার পানি নেমে গেলেও এ সড়ক সংস্কারের অভাবে প্রায় দু’মাস যান চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে ২০-২৫টি গ্রামের মানুষ সহজ যাতায়াতের ক্ষেত্রে পড়ে চরম ভোগান্তিতে। সড়কের ভাঙ্গা এ অংশ সংস্কারের ব্যাপারে সরকারীভাবেও কোন উদ্যোগ না থাকায় ভুক্তভোগী গ্রামীণ জনগোষ্ঠির পাশে এসে সহায়তার হাত বাড়ান সিংচাপইড় ইউনিয়নের আইনাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা, যিনি সিংচাপইড় ইউনিয়নে উপ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রাথী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, আলহাজ্ব খোযাজ আলী জনকল্যাণ ট্রাষ্টের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী আশিকুল ইসলাম আশিক। এ প্রবাসীর অর্থায়নে সড়কের এ ভাঙ্গা অংশ সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সড়কের ভাঙ্গা অংশ সংস্কার কাজ চলে। শুক্রবার কাজ শেষে হলে বিকেলে এ সড়ক দিয়ে যান চলাচল ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন, ট্রাষ্টের সদস্য রফিকুল ইসলাম। প্রবাসী আশিকুল ইসলাম আশিক জানান, মানুষের কল্যাণে কাজ করা তার পারিবারিক রেওয়াজ। এর আগেও জনকল্যাণমুলক বহুকাজ করা হয়েছে পারিবারিকভাবে। মহামারী করোনা ও টানা তিনবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় ট্রাষ্টের উদ্যোগে ধারাবাহিকভাবে পরপর ৬ বার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
সড়ক সংস্কারের বিষয়টি জনকল্যাণমূলক কাজেরই অংশ বলে তিনি জানান। সংস্কারকৃত সড়কের উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে স্থানীয় হারুনুর রশীদ, মাষ্টার পারভেজ মিয়া, এম তৈয়বুর রহমান, আব্দর আলী, হবিবুর রহমান, মঈন উদ্দিন, রফিক আহমদ, জয়নাল আবেদীন, মানিক মিয়া, কমর উদ্দিন, বিল্লাল আহমদ, নুনু মিয়া, আমির উদ্দিন, পরিবহন শ্রমিক নেতা আঙ্গুর মিয়া, জহির উদ্দিন, খেলু মিয়াসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।