নবগঠিত গোলাপগঞ্জ উপজেলা ও ঢাকা দক্ষিণ সরকারী কলেজ ছাত্রদলের গঠনতন্ত্র বিরোধী আহবায়ক কমিটি বাতিল করে ত্যাগী ও পরীক্ষিত ছাত্রনেতাদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবিতে সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের প্রধান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে সিলেট নগরীর একটি হোটেলে অবস্থানরত ছাত্রদলের সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের প্রধান ওমর ফারুক কাওসার এর হাতে অভিযোগটি তুলে দেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের পক্ষে জাহেদ আহমদ মান্না, দিদারুল ইসলাম, দুলাল আহমদ, মাজহারুল ইসলাম। কলেজ ছাত্রদলের পক্ষে কামিল তালুকদার, সুবেদ আহমদ, তোফায়েল আহমদ সুমেল, নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নবগঠিত গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের কমিটিতে অছাত্র ও এসএসসি সার্টিফিকেট বিহীন অনেকে স্থান দেয়া হয়েছে। কমিটির সদস্য সচিব ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া ফাহিম চৌধুরী অছাত্র। সে এসএসসি’র সার্টিফিকেট জাল করে নিজেকে ছাত্র হিসেবে প্রমাণ করেছে। যা সম্পূর্ণ ভুয়া। কমিটির ৩নং যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহমান সে ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে, তার সার্টিফিকেটও ভুয়া। উপজেলা কমিটির আহবায়ক তানজিম আহাদ টেনে টুনে এসএসসি পাস থাকলেও বর্তমানে সে অছাত্র।
ঢাকা দক্ষিণ সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব মতিউর রহমান মুমিন কলেজের ছাত্র নয়। সে কলেজের ভুয়া প্রত্যয়নপত্র দিয়ে নিজেকে কলেজের ছাত্র প্রমাণ করে ছাত্রদলের পদবী লাভ করেছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম মতিউর রহমান মুমিনের ছাত্রত্ব সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। অথচ অত্র গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের কমিটিতে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত, পরীক্ষিত, ত্যাগী, নির্যাতিত, শিক্ষিত ছাত্রনেতারা রয়েছেন। যাদেরকে বঞ্চিত করে আগামী নির্বাচনকে মুখ্য করে একটি বিশেষ মহলের ইশারায় সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র বিরোধী উপজেলা ও কলেজ কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা আগামী দিনের বিএনপির রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত।
সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের প্রধান ওমর ফারুক কাওছার অভিযোগটি গ্রহণ শেষে বলেন, অভিযোগের সতত্যা পেলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিজ্ঞপ্তি