বোন জামাইকে মদ দিয়ে ফাঁসানোর অপরাধে গ্রেফতারকৃত ৩ জন কারাগারে

15

স্টাফ রিপোর্টার :
শহরতলীতে বোন জামাইকে মদ দিয়ে ফাঁসানোর অপরাধে গ্রেফতারকৃত ৩ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার গ্রেফতারকৃতদেরকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, জালালাবাদ থানার মোঘলগাঁও গ্রামের আজিজুর রহমান (৫০), একই এলাকার ইমরান (২৫) ও আহমদ রায়হান (২২)।
পুলিশ জানায় জালালাবাদ থানার নোয়াগাঁও গ্রামে বোনের জামাইকে শিক্ষা দেয়ার জন্য ১০ বোতল অফিসার চয়েজ মদ রেখে নাটক সাজানোর চেষ্টা করেন আজিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। পুরো বিষয়টি পুলিশের কাছে সন্দেহ হলে পুলিশ ইমরান ও আহমদ রায়হান নামের দুজনকে ১০ বোতল মদ উদ্ধারসহ গ্রেফতার করে নিয়ে আসলে তারা ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে পুলিশের কাছে। টাকার বিণিময়ে আজিজুর রহমানের কথামত মদগুলো তারা শহরতলীর শাহজালাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে আলীম উদ্দিনের নির্মাণাধীন ভবনের ২য় তলায় রাখার পর পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ আরো জানায়, সোর্সের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জালালাবাদ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনার মূল হোতা মদিনা মার্কেটস্থ আহমদ কমপ্লেক্স থেকে আজিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়। এরপর রহস্যের জট খুলতে শুরু করে। তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন বোন জামাইকে শিক্ষা দেয়ার জন্য গত রবিবার সন্ধ্যায় মান্নান উরফে পাগলা নামের এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ বোতল অফিসার চয়েস মদ ক্রয় করে আজিজুর তার নিজ বাড়িতে এনে রাখেন। পরবর্তীতে সোর্স ইমরান ও রায়হান সহযোগীতায় তার বোনের স্বামীকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত মাদকদ্রব্য ঘটনাস্থলে নিয়ে রাখার পাশাপাশি সোর্স সেজে পুলিশকে সংবাদ দেয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে জালালাবাদ থানায় মাদক আইনে মামলা নং-১ দায়ের করেন এসআই নাজমুল আলম। এর মধ্যে মামলার আসামী মান্নান উরফে পাগলা বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অকিল উদ্দিন আহম্মদ জানান, গ্রেফতারকৃত আজিজুর রহমান, ইমরান ও রায়হানকে গতকাল সোমবার সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আজিজুর রহমান আদালতে পুরো ঘটনার বর্ণানা দিয়ে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী প্রদান শেষে আদালতের নির্দেশে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।