প্রধানমন্ত্রী সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক বিধিমালা অমান্য করে, সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে কোনো প্রকার পরামর্শ না করে এমনকি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অবমূল্যায়ন করে নিজস্ব বলয়ের অখ্যাতদের দিয়ে পূর্ণাঙ্গ খসড়া কমিটি জমা দেয়ার প্রতিবাদে সর্বস্তরেরর নেতাকর্মীরা উদ্যোগে এক প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার দুপুরে সুরমা মার্কেটের সামন থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সুরমা মার্কেটের সামনে এসে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভার মাধ্যম শেষ হয়। প্রতিবাদ মিছিল পরবর্তীতে বক্তব্যে বক্তারা বলেন যে, দীর্ঘ নয় মাস পর জেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হতে যাচ্ছে শুনে আমরা বুক ভরা আশা নিয়ে ছিলাম দলের পরীক্ষিত এবং ত্যাগী নেতাদের প্রস্তাবিত খসড়া কমিটিতে মূল্যায়ন করা হবে কিন্তু তৃণমূল নেতাদের যথাযথ মূল্যায়ন না করে, দলীয় সভানেত্রীর আদেশ অমান্য করে নিজ পছন্দের কর্মীদের (মাইম্যান) গুরুত্বপূর্ণ পদে দেওয়া, ত্যাগী নেতাদের বাদ দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। সিলেট আওয়ামীলীগের বিগত কমিটি গঠনই কখনই সুখকর ছিল না। যখনই কমিটি হয় তখনই দেখা দিয়ে থাকে ক্ষোভ ও বিরোধ। জেলা কমিটিতে বিতর্কিত ব্যবসায়ী, বালু-পাথর খেকো, দুর্নীতিবাজ, বঙ্গবন্ধু হত্যার খুনি পরিবারের সদস্য দিয়ে প্রস্তাবিত খসড়া কমিটি কেন্দ্রে প্রেরণ নিয়ে জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ জানাই, জেলা আওয়ামীলীগের গত কমিটির পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেব পরিচিত সিলেট-৪ আসনের ৭ বারের সাংসদ বর্তমান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এম.পিকে জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত খসড়া কমিটিতে সদস্য পদে রাখা হয়নি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তাান দুর্দিনের কারা নির্যাতিত ত্যাগী নেতা এম. শাহরিয়ার কবির সেলিম কে গত দুই কমিটিতে রাখা হয়নি, উনার বাড়ি বিয়ানীবাজার হওয়াতে এবং এবারের বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের বাড়ী বিয়ানীবাজার হওয়াতে প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে এবারও জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত খসড়া কমিটিতে ন্যূনতমে সদস্য পদেও রাখা হয়নি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক ত্যাগী নেতা জগলু চৌধুরী, সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের দুর্দিনের সভাপতি এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে এডভোকেট সালেহ আহমদ হিরা কে প্রাণে মারা উদ্দেশ্যে গুলি করে সেই দিন আল্লাহর অশেষ কৃপায় গুরুতর আহত অবস্থান বেঁচে যান এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এডভোকেট শেখ মকলু মিয়া-কে ও জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত খসড়া কমিটিতে সদস্য পদেও রাখা হয়নি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাহবুবুল হক, রেজানুর রহমান সেলিম, নাজমুল ইসলাম মাছুম, ইয়াসিন সুমন, আওয়ামী হকার্সলীগের আহবায়ক রকিব আলী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আব্দুল হামিদ অভি, ফয়েজ আহমদ, মোতালিব আলী, শাহিনুর রহমান শাহিন, ছয়দুর রহমান, কবির মাহমুদ, জসীম উদ্দিন, নোমান আহমদ , সুমন আহমদ, জয়েল মির্জা প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি