চুনারুঘাট থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার রানীগাঁও বাজারে অবৈধ গরুর হাটে চুনারুঘাট সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিলটন পাল অভিযান চালান। এ সময় বিনা রশিদে চাঁদা আদায়কারী ও অবৈধ গরুর হাট পরিচালনাকারী দুলাল গংরা পালিয়ে যায় এবং ক্রেতা-বিক্রেতারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় চুনারুঘাট সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিলটন পাল ও চুনারুঘাট থানার একদল পুলিশ সঙ্গীয় ফোর্সদের নিয়ে এ রানীগাঁও বাজারের অবৈধ গরুর হাটে অভিযান চালান। এ সময় ক্রেতা-বিক্রেতা সহ বাজার পরিচালনাকারী দুলাল গংরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, রানীগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব রানীগাঁও গ্রামের জিলু মিয়ার পুত্র যুবলীগের নামধারী সদস্য দুলাল মিয়া প্রবাস থেকে ফিরে এসে স্থানীয় এতিমখানা মাদ্রাসার নামীয় জমিতে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন যাবত গরুর হাট বসিয়ে বিনা রশিদে প্রতিদিন ৭০/৮০টি গরু-ছাগল বিক্রি করছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে শুক্রবার সন্ধ্যায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিলটন পাল সঙ্গীয় এস.আই ভূপেন্দ্র চন্দ্র বর্মন সহ একদল থানা পুলিশ উক্ত অবৈধ গরুর হাটটি ভন্ডুল করে দেন। পরে রানীগাঁও বাজারের প্রত্যেকটি দোকানে বেশি মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় মেয়াদোত্তীর্ণ মালামাল বিক্রি না করার জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেন। তাছাড়া প্রত্যেকটি দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শনের জন্য অনুরোধ করেন। অবৈধ গরুর হাট বন্ধের বিষয়ে রানীগাঁও বাজার কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারীকে নিয়ে পুলিশ প্রশাসন এক বৈঠকে বসে। এ সময় বাজার পরিচালনা কমিটিদেরকে এ অবৈধ গরুর হাট বন্ধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। বাজার কমিটির সভাপতি ডা: তৌফিক আহমেদ চৌধুরী ও সেক্রেটারী আব্দুল হামিদ মাস্টার পুলিশ সদস্যদের জানান, যুবলীগের স্থানীয় ৩/৪ জন নেতা অবৈধভাবে এ গরুর হাট বসায়। আমরা তাদেরকে গরুর হাট বন্ধের জন্য জানাব, যদি তারা আমাদের কথা না শুনে তাহলে আমরা তাদের নাম উল্লেখ করে লিখিতভাবে ইউএনও সাহেব ও আপনাদেরকে অবহিত করব। আপনারা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ সময় উপস্থিত স্থানীয় লোকজন অবৈধ গরুর হাট বন্ধের দাবি জানান।