বিশ্বনাথে সৎ-মাকে বের করে ঘরে তালা!

13
বিশ্বনাথে সৎ মা ও ভাইকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে সৎ ছেলে।

বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
স্বামী মারা গেছেন প্রায় ১২ বছর আগে। এরপর থেকে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে স্বামীর ঘরেই বসবাস করছিলেন বিধবা নেহারুন নেছা (৪৫)। তিনি উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের মান্দারুকা গ্রামের মৃত আলতাবুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী। শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় দেমাসাধ হাইস্কুলের ৬ষ্ট শ্রেণীতে পড়ুয়া তার ১২ বছর বয়সী ছেলে ছাদিকুর রহমান ও ভাসুরপুত্র খালিক মিয়াকে (৩৫) নিয়ে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে সিলেটে বসবাসকারী তার সৎ-ছেলে আতিকুর রহমান (৪০) ও সুমন মিয়া (৩০) বাড়ি ফিরে খাওয়া থেকে তুলে চুলের মুঠো ধরে মারধার করেন তাকে। এসময় চুল ধরে তাকে ও তার ছেলে ছাদিককে টেনে হেঁচড়ে বের করে ঘরে তালা দেন সৎ ছেলে আতিক ও সুমন।
ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি হবার কথা থকালেও অভিযুক্ত সৎ-ছেলেরা পঞ্চায়েতের ডাকে সাড়া দেননি। ফলে গত ৪দিন ধরে ছেলেকে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ওই নারী। এ ঘটনায় সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিধবা নেহারুন নেছা বাদি হয়ে সৎ-ছেলেদের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত সৎ-ছেলে আতিক ও সুমন এ ব্যপারে বক্তব্য দিতে অপারগতা জানিয়েছেন। তবে, দেমাসাধ হাইস্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী সমছু মিয়া লয়লুছ বলেছেন, ওই নারী অসহায় হওয়ায় তার ছেলে ছাদিককে তার বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে লেখাপড়ার সুযোগ দিয়েছেন। শুক্রবার মা-ছেলেকে বের করে দিয়ে তার অপর সৎ-ছেলেরা ঘরে তালা দেওয়ায় বর্তমানে তারা মান্দারুকা গ্রামের আমজাদ মিয়ার বাড়িতে আশ্রয নিয়েছে।
আমজাদ মিয়াসহ গ্রামের মুরব্বিয়ানরা বলেছেন, সৎ-ছেলেরা তার দেখাশুনার দায়িত্ব না নিয়ে উল্টো বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কথা হলে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, সৎ ছেলেরা ওই নারীকে শুধু বের করে দেয়নি মারধরও করেছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওযা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।