জকিগঞ্জে সরকারী গোপাটে মাটি ভরাট ॥ ৫ শত একর জমিতে শাইল ধানের চাষ অনিশ্চিত, কৃষকদের মধ্যে উত্তেজনা

11

সিলেটের পূর্ব-দক্ষিণে বিভাগীয় শহর থেকে প্রায় শত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জকিগঞ্জ উপজেলা সদর। দেশ বিভাগের পর থেকে সর্বাদিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এক সময়ে এ অঞ্চলের কৃষিজাত পণ্যে উৎপাদনের খ্যাতি ছিল দেশময়। কিন্তু কৃষি নির্ভরশীল এলাকা হলে ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাবে আদি-কালের কৃষি পণ্যে হারিয়ে যাচ্ছে। এ উপজেলার হাওর-বাওর, বিশাল ক্ষেতের মাট গুলোকে সুপরিকল্পিত ভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কৃষিজাত পণ্যে উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। এ ছাড়া ও জকিগঞ্জের ফসলী জমি গুলোতে মাছ চাষের নামে সরকারী-বেসরকারী জমি গুলোতে পুকুর দিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে বিপুল পরিমাণ জমিতে চলতি শাইল মৌসুমে ধান চাষে বিঘ্নতার সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।
সম্প্রতি জকিগঞ্জের কসকনকপুর ইউনিয়ন এলাকায় সড়ক-জনপদ বিভাগের সিএন্ডবির রাস্তার পাশের পানি নিষ্কাশনের এক মাত্র গোপাটটিতে একটি ভূমি খেকো চক্র মাটি ভরাট করে অপ-দখলের চেষ্টা করছে। এ গোপাটটিতে মাটি ভরাট করায় অত্র এলাকার প্রায় ৫ শত একর শাইল চাষের জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে শাইল ধান চাষ বিঘ্নিত হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকার কৃষকদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময়ে সংঘর্ষের আশংকা করছেন সচেতন মহল।
সড়ক-জনপদের পানি নিষ্কাশনের গোপাট জবর-দখলের অভিযোগ সড়ক-জনপদ কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হলে ও রহস্যজনক কারণে পানি নিষ্কাশনের গোপাটটি উদ্ধারের কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
উল্লেখ্য গত কয়েক পূর্বে সড়ক জনপদের এ পানি নিষ্কাশনের গোপাটটি অপ-দখলের লক্ষ্যে মাটি ভরাট করে একটি ঘর নির্মাণ করা হলে এলাকায় চরম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে এলাকাবাসীর উদ্যোগে ঘরটি উচ্ছেদ করা হয়।
বর্তমানে একেই কায়দায় সরকারী রাস্তার পানি নিষ্কাশনের গোপাট অপ-দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে এলাকার ফসলী শাইল ধানের জমিসহ ২/৩টি গ্রামবাসীকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষাসহ জলাবদ্ধকৃত জমিতে শাইল ধান উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ জনস্বার্থে এগিয়ে আসা খুবই জরুরী। (খবর সংবাদদাতার)