সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, বাক স্বাধীনতা নেই, ভোটের অধিকার নেই, সরকারের ঝুলুম নির্যাতনের মানুষ আজ অতিষ্ঠ। দেশবাসীকে সাথে নিয়ে বিএনপি যখন গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে রাজপথে আন্দোলন করছে। সর্বস্থরের মানুষ এই আন্দোলনে একাত্মতা পোষন করছে। তা দেখে সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে। আওয়ামীলীগ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতার মসনদ ধরে রাখতে গুম-খুনের রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। তারা দেশের মুক্তিকামী জনতাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে থামিয়ে রাখতে চায়। এমন হীন ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই বিএনপি নেতা আফম কামালকে রাস্তায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত এই হত্যাকাÐের মুল অভিযুক্ত সম্রাট সহ অধিকাংশ আসামী গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অভিলম্বে কামাল হত্যা মামলার সকল আসামীকে গ্রেফতার করে আলোচিত এই মামলাটি দ্রæত বিচার আদালতে হস্তান্তরের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যতায় সিলেটবাসীকে নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
রেববার দুপুরে সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আফম কামালের খুনিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও মামলা দ্রæত বিচার আদালতে হস্তান্তর দাবীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর নেতৃত্বে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামিলীগ সরকার লাগামহীন লুটপাটের মাধমে দেশকে দেউলিয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সারাদেশে দুঃশাসন কায়েম করে প্রিয় মাতৃভ‚মিকে আতংকের জনপদে রুপান্তরিত করেছে। লুটপাট আর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই তারা রাস্তায় মানুষকে হত্যা করছে। বিএনপি নেতা আফম কামালের হত্যাকাÐের ঘটনাও একই সূত্রে গাঁথা। এই অবস্থা থেকে দেশকে বাঁচাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এই সরকারকে বিতাড়িত করতে হবে।
সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল গাফফার, জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক ও মামুনুর রশিদ মামুন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এডভোকেট এ টি এম ফয়েজ উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক এডভোকেট বদরুল আহমদ চৌধুরী, এডভোকেট আতিকুর রহমান শাবু, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, সদস্য সচিব আফসর খাঁন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম, জেলা বিএনপি নেতা আজির উদ্দিন চেয়ারম্যান, ফেঞ্জুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ষবাপতি ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, এডভোকেট আবু তাহের, এডভোকেট মহসিন আহমদ চৌধুরী, এডভোকেট কামাল হোসেন, এডভোকেট মুজিবুর রহমান, এডভোকেট আল আছলাম মুমিন, এডভোকেট সাইদ আহমেদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর আলী, এডভোকেট এজাজ উদ্দিন, এডভোকেট মোস্তাক আহমদ, এডভোকেট খালেদ জোবায়ের, এডভোকেট ওবায়দুর রহমান ফাহমি, এডভেকেট ইকবাল আহমদ, এডভোকেট তানভির আক্তার খান, এডভোকেট আব্দল্লাহ আল মামুন হিরা, এডভোকেট নজরুল ইসলাম, এডভোকেট সাজেদুল ইসলাম সজীব, এডভোকেট মঞ্জুর এলাহী ছামী, এডভেকেট নিজাম উদ্দিন, এডভেকেট জাহিদুল হক জাবেদ, এডভোকেট বদরুল আলম শিপন, এডভোকেট হানিফ আহমদ, এডভোকেট গোলাম আযম, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আব্দুল হাসিম জাকারিয়া, আজিজ খান সজিব, মহানগরের সদস্য কামরুজ্জামন দিপু, তসির আলী, মিসবা আহমদ জেহিন, দুলাল আহমদ, সফিকুল ইসলাম, জেলার সদস্য ছালেক আহমদ, মহানগরের সদস্য দুলাল আহমদ, রায়হান আহমদ, সামাদ হোসেন, সাফওয়ান কৌরশী, গুলাম মোস্তাফা, সদর উপাজ্লার স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আমিনুর রহমান আমিন, রুহেল আহমদ, নিসাই আহমদ, ছাত্রদর নেতা মাহমুদুল হাসান সাগর, আনাস মাহফুজ, বাদশাহ আহমদ, হাজী জাহেদ আহমদ, আক্রম আলী মাসুক, তৈয়বুর রহমান, আমিনুর রহমান আমিন, আব্দুল আজিজ, আব্দুল গফুর মান্না, আবজাল হোসেন, আকরম আলী, রেজাউল করিম রায়হান, ফখরুল ইসলাম পাপ্লু, খায়রুল হক ছুটন, সাজু আহমদ খান, জহিরুল ইসলাম তানিম, রুহুল আমিন, রাশেদুল হাসান চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম খান, শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, জয়ফুর রহমান পারভেজ, তুহিন আহমদ চৌধুরী, হুসাইন আহমদ রুপন, আইয়ুব আলী, শেখ ওয়েছ আহমদ মিঠু, সামাদ আলি, ফয়সাল আহমদ, মেহেদী হাসান রফি, রাহিবুল হাসান চৌধুরী সুজন, হাফিজুল করিম সায়মন, কমল হাসান বাবর, দাহিরুল করিম রানা, সাহিন আহমদ, রুহেল চৌধুরী, জামাল আহমদ, জুবেল আহমদ, রাকিব আহমেদ, জুমুর প্রমুখ।
এছাড়াও সকল উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অনুরুপ ভাবে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। বিজ্ঞপ্তি
