কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুয়া বিল তৈরি করে দেড় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের

30

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নানা অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনা বেরিয়ে আসছে। করোনাকালীন সময়ে মে-জুন রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকলেও কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফদের রেস্টুরেন্টে খাবারের ভুয়া বিল তৈরি করে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫’শ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গতকাল বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কানাইঘাট বাজারের নিউ পানসী রেস্টুরেন্ট ও নাঈম এন্ড ফাহিম রেস্টুরেন্টের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল মন্নান এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে আব্দুল মন্নান উল্লেখ করে, করোনার দুর্যোগকালীন লকডাউনের সময় মে ও জুন মাসে কানাইঘাট বাজারের সকল রেস্টুরেন্ট পাশাপাশি তার মালিকানাধীন দুইটি রেস্টুরেন্ট বন্ধ ছিল। অথচ মে ও জুন মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৭ জন স্টাফ আমার নাঈম এন্ড ফাহিম রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়েছেন মর্মে আমার রেস্টুরেন্টের নামে ভূয়া ক্যাশ মেমো তৈরি করে আমার স্কুল পড়ুয়া ছেলে নাঈমকে ম্যানেজার দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে তার ভুয়া স্বাক্ষর ও সীল ব্যবহার করে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫’শ টাকার বিল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডাঃ শেখ শরফ উদ্দিন নাহিদ ও অফিস সহকারী শামীম আহমদ স্বাক্ষর দিয়ে সরকারের কোষাগার থেকে উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন। আব্দুল মান্নান বলেন আমি দীর্ঘদিন ধরে হোটেল ব্যবসার সাথে জড়িত, সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমন জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে আমার রেস্টুরেন্টের ভুয়া ক্যাশ মেমো প্রস্তুত করে সীল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে যে অপকর্ম করেছেন তা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এ অভিযোগ দায়ের করেছি। পাশাপাশি অভিযোগের অনুলিপি সিলেটের জেলা প্রশাসক, জেলা সিভিল সার্জন ও দুর্নীতি দমন কমিশন, সিলেট অফিসের ডিডি বরাবরে ডাকযোগে পাঠিয়েছি। আসা করি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন, যাতে করে এ ধরনের জালিয়াতির ঘটনা আর কখনো না ঘটে।
অভিযোগের ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডাঃ শেখ শরফ উদ্দিন নাহিদের মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান বলেন, আব্দুল মন্নানের অভিযোগের কপি পেয়েছি। তদন্ত করে সেটা দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।