কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাটের আলোচিত এক প্রেমিক জুটিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার ৬নং ফতেহপুর ইউপির তৃতীয় খন্ড গ্রামের জনৈক এক মহিলার বাড়ী থেকে গত শনিবার রাতে আটক করে গোয়াইনঘাট থানায় সোপর্দ করার পর গতকাল রবিবার এই প্রেমিক জুটিকে কানাইঘাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, কানাইঘাট রাজাগঞ্জ ইউপির গাজীপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী মনির উদ্দিনের মেয়ে স্থানীয় সুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমানে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা আক্তার মুন্নি একই বাড়ীর কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী সম্পর্কে চাচাতো ভাই জাবের আহমদ (২০) এর সাথে প্রেমের টানে কয়েক মাস পূর্বে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায় এ প্রেমিক জুটি। পরে এ ঘটনায় মাসুমা আক্তার মুন্নির মা দিলারা বেগম বাদী হয়ে তার মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ এনে কানাইঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মাসুমা আক্তার মুন্নিকে পুলিশ উদ্ধার করলে সে নিজ ইচ্ছায় প্রেমের টানে জাবের আহমদের হাত ধরে পালিয়ে গেছে, তাকে অপহরন করা হয়নি বলে জানায়। মা দিলারা বেগমের সাথে যেতে মুন্নি অস্বীকৃতি জানালে তাকে পুলিশ হেফাজতে আদালতের নির্দেশে সিলেট বাঘবাড়ী সেইফ কাস্টরিতে পাঠানো হয়। মুন্নির মা দিলারা বেগম পুণরায় আদালতের দারস্ত হলে মুন্নিকে শর্ত সাপেক্ষে গত ২৭ এপ্রিল তার মায়ের জিম্মায় দেন বিজ্ঞ আদালত। কিন্তু সেইফ কাস্টরি থেকে মুক্তি পাওয়ার পুনরায় মুন্নি তার প্রেমিক জাবের আহমদের সাথে আবারো সম্পর্ক তৈরি করে। গত ১৭ জুলাই মুন্নি তার খালা জাহানারা বেগমের সিলেট শহরস্থ বাসা থেকে প্রেমিক জাবেরের হাত ধরে আবারো পালিয়ে গিয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউপির ৩য় খন্ড গ্রামে জনৈক এক মহিলার বাড়ীতে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে বসবাস শুরু করে। বিষয়টি জানতে পেরে মুন্নির মা দিলারা বেগম ও খালা জাহানারা বেগম ফতেহপুর ইউপির চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ ও ফতেহপুর ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিনের মাধ্যমে মুন্নি ও তার প্রেমিক জাবের আহমদকে স্থানীয় লোকজন শনিবার গভীর রাতে জনৈক মহিলার বাড়ী থেকে আটক করেন স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে গতকাল রবিবার গোয়াইনঘাট থানায় সোপর্দ করেন। পরে এই প্রেমিক জুটিকে গতকাল কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। কানাইঘাট থানায় ডিউটি অফিসারের কক্ষে মাসুমা আক্তার মুন্নির সাথে স্থানীয় সাংবাদিকরা কথা বললে সে বলে ভালোবাসার টানে নিজ ইচ্ছায় জাবের আহমদের হাত ধরে সে পালিয়ে গিয়ে আদালতে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে জাবের আহমদকে কোর্ট ম্যারেজ করেছে। তার বয়স ১৮ বলে মুন্নি জানায়। অপরদিকে মুন্নির খালা জাহানারা বেগম জানিয়েছেন, তার বোনজি মাসুমা আক্তার মুন্নি অপ্রাপ্ত বয়স্ক। স্কুল সার্টিফিকেট হিসেবে তার বয়স ১৬ বছর ৬ মাস। তার বোনজিকে ফুসলিয়ে বখাটে জাবের আহমদ অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মুন্নির মায়ের দায়েরকৃত একটি অপহরন মামলার চার্জশীটভুক্ত পলাতক আসামী জাবের আহমদ। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। অপরদিকে মুন্নির বয়স নির্ণয় করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।