দেশে করোনা সংক্রমণ রোগে শনাক্তের সংখ্যা কমলে ও মৃতে্যুর সংখ্যা কমছে না। এ মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারসহ স্বাস্থ্য বিভাগ হিমসিম খাচ্ছেন। প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানুষ মৃত্যু বরণ করতে হচ্চে। বর্তমানে দেশে করোনায় সাড়ে চার হাজারের বেশী মৃত্যুর সংখ্যা বাড়িয়ে গেছে।
দেশে গত চার মাস ধরে করোনা সংক্রমণ ভাইরাস রোধে জনস্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন কর্মপন্থায় করোনা ভাইরাস রোধ হবে কিনা কিছু বলতে পারছেন না। ফলে করোনা ভাইরাস অনিশ্চিতের পথে এগুচ্ছে। করোনা রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে দুর্বলতা থাকায় কেউ স্বাস্থ্য বিধি মানছে না। সর্বত্র খাম-খেয়ালীর কারণে করোনা ভাইরাসের বিস্তার যে ভাবে বাড়ছে, রোধ প্রক্রিয়া তেমন ভাবে বলবৎ করা হয়নি। করোনা সংক্রমণ রোধে যে ভাবে সতর্কতা অবলম্বন নীতি প্রয়োগ করার কথা তা যথারীতি প্রয়োগ হয়নি, বলে সচেতন মহল মনে করছেন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে; করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে এগুতে হবে। আমাদের দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনা করলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ জন্য দায়ী সাধারণ মানুষের অবাধ চলাফেরা, করোনা রোধে সকল প্রকার বাধা-নিষেধ উপেক্ষা করে অবাধে বিচরণ করা। এ ছাড়াও করোনা শনাক্রের ব্যাপারে হাসপাতাল গুলোতে গিয়ে করোনা সংক্রমণ শনাক্তকারীরা চরম ভোগান্তির কারণে যদি ও শনাক্তের সংখ্যা কম দেখা গেলেও করোনা সংক্রমণ ভাইরাস বিস্তার করছে বলে বিজ্ঞ মহল মনে করেন।
স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের মতে; আমাদের দেশের মানুষ যেভাবে অবাধে চলাফেরা করছে, এতে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঘটাচ্ছে। করোনা ভাইরাস রোধে সকল প্রকার নীতিমালার তোয়াক্কা করছে না কেউ। তবে সবার আগে করোনা ভাইরাস রোধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা কঠোর ভাবে বলবৎ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এগিয়ে আসতে সময়ক্ষেপণ করলে করোনা ভাইরাস মারাত্মক ভাবে হানা দিবে।
তাই করোনা রোধে নীতিমালা প্রয়োগে কঠোর হতে হবে বলে সচেতন মহল মনে করেন।