স্টাফ রিপোর্টার :
সদর উপজেলার ৩নং খাদিমনগর ইউনিয়নের ছালেহপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে তানভির আহমদ (১৭) নামের এক কিশোর খুন হয়েছে। সে ওই গ্রামের শফিক মিয়ার পুত্র। গত বুধবার রাত ১ টার দিকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি।
এরআগে ওইদিন বিকেলে পূর্ব বিরোধের জেরে একই গ্রামের আব্দুল গণির পুত্ররা তাদের বাড়ির সামনে তানভিরের উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা তানভিরের মাথায় ও ঘাড়ে বেশ কয়েকটি ছুরিকাঘাত করে। পরে গুরুতর আহতবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহতের পিতা শফিক মিয়া বলেন, জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছে আব্দুল গণির পরিবারের সাথে। পূর্বে গণি মিয়ার পুত্র তোয়াহিদ, ভাতিজা পাপ্পু আমার উপর হামলা চালায়। বিষয়টি মিমাংসা হলে তারা আমার পুত্রকে একাধিকবার আক্রমণ করার চেষ্টা করে। গত বুধবার বিকেলে আমার পুত্র বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারের দিকে যাওয়ার পথে গণি মিয়ার পুত্র ও ভাতিজা তাদের নয়া বাড়ির সামনে হামলা চালায়। তিনি আরও বলেন, আমার পুত্রের মাথায় ও ঘাড়ে ৭ থেকে ৮টি ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। মাথার আঘাতটি গুরুতর হওয়ায় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান। আমার ছেলে ৫ম শ্রেণী পড়ালেখা করার পর আর পড়াশুনা করেনি। ২ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে নিহত তানভির বড়। গত কয়েকমাস পূর্বে থেকে তাকে ড্রাইভিং শিখাচ্ছি।
এ ব্যাপারে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্র্তা (ওসি) এসএম শাহাদৎ হোসেন জানান, জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় তানভির নামের এক কিশোর নিহত হয়েছেন। বুধবার প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ছুরিকাঘাত করে এরপর ওইদিন রাতে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ময়না তদন্ত শেষে নিহত তানভিরের লাশ তার আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। অভিযোগ পেলে মামলাটি রেকর্ডের পর আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হবে।