কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের জন্য ৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলারের ঋণ অনুমোদন দিয়েছে দাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল- আইএমএফ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ (বিনিময় হার ৮৫ টাকা ধরে) ছয় হাজার ২২২ কোটি টাকা। বিনা সুদে এ ঋণ পাবে বাংলাদেশ।
আইএমএফের ওয়েবসাইটে শুক্রবার (২৯ মে) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ সামাজিক নিরাপত্তা আরও জোরদার এবং অর্থনীতিকে সঠিক পথে রাখতে যে প্রণোদনা কর্মসূচি নিয়েছে তা বাস্তবায়নে এই ঋণের অর্থ ব্যয় করতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফের সদর দপ্তরে সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের সভায় এ জরুরি ঋণ সহায়তা অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে যেমন অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে গেছে, অন্যদিকে রপ্তানিও তলানিতে নেমে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে লেনদেন ভারসাম্য ও রাজস্ব চাহিদা মেটাতে আইএমএফ বাংলাদেশকে ৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলার জরুরি সহায়তা দিচ্ছে।
কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে রাজস্ব আদায় বাড়ানো, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে সংস্কার আনার চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, যা বিনিয়োগ বাড়ানোর পূর্বশর্ত বলছে আইএমএফ। সংস্থাটি বলেছে, এসব বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সরকার তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন করবে কি না, তা ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখবে আইএমএফ।
আইএমএফ আরও বলেছে, বাংলাদেশের এই বিপদে আইএমএফ সরকারের পাশেই থাকবে এবং ভবিষ্যতে সহায়তা আরও বাড়ানো হবে।
কোভিড-১৯ সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করে আইএমএফ বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক তারল্য ঘাটতি মেটাতে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে এবং আর্থিক খাত যাতে অর্থনীতির সহায়ক হতে পারে, সেই ব্যবস্থাও নিয়েছে। অর্থনৈতিক অবস্থার আরও অবনতি হলে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও ছাড় দিতে পারে।