ব্যাংকিং খাতে সুবাতাস বয়ে যাক

9

২০১৮ সালের ৩০ মে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত ব্যাংকিং প্রবৃদ্ধি ও নীতিমালায় উল্লিখিত এক অঙ্কের সুদহার কার্যকর বিষয়ক আগের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জারি করেছে নতুন প্রজ্ঞাপন। অর্থাৎ, এখন থেকে যে কোন মূল্যে সব ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ বা সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনতে হবে। দেশে কার্যরত সব তফসিলী ব্যাংকের কাছে প্রেরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো কর্তৃক নতুন ঋণ মঞ্জুরি ছাড়াও বিদ্যমান ঋণ হিসাবগুলোতেও অযৌক্তিকমাত্রায় উচ্চতর সুদহার নির্ধারণ রোধ, ঋণ শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং নতুনভাবে খেলাপী ঋণ সৃষ্টির জন্য আগের ঐ সার্কুলারের কতিপয় নির্দেশনা বাতিল করা হলো। অতঃপর নতুন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সব ধরনের ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ কার্যকর নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। এতে করে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে একটি সুষ্ঠু ও সমন্বিত বিধান কার্যকর হবে বলে আশা করা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক ৯ শতাংশ সুদহার কার্যকরের নির্দেশ দিলেও করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে কয়েকটি ব্যাংক তা বাস্তবায়িত করতে গড়িমসি করছে বলে খবর আছে। আবার বেসরকারী ব্যাংকগুলো প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য আমানতের বিপরীতে ৮-৯ শতাংশ লভ্যাংশও দিচ্ছে। সে অবস্থায় এলো বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন প্রজ্ঞাপন। এর বিপরীতে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবশ্য কিছু সুবিধাও দিচ্ছে ব্যাংকগুলোকে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিনিয়োগ, মুনাফা বা ঋণের সুদ সিঙ্গেল ডিজিট বা এক অঙ্কে নামিয়ে আনা হলে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। কমবে খেলাপী ঋণও। ব্যাংকিং খাতে সুবাতাস বয়ে যাক, এটাই প্রত্যাশা। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা ও কর্মতৎপরতা আবশ্যক। তবে ঋণের সুদ কমাতে গিয়ে যে আমানতের সুদও কমানো হয়েছে, তাতে সাধারণ মানুষ যাতে তেমন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটাও দেখতে হবে অবশ্যই।