‘শিলং’ নামের ভয়ংকর জুয়ার নেশায় সর্বস্বান্ত হচ্ছে দেশের মানুষ। এই জুয়ায় আসক্ত হয়ে অনেকেই ইতোমধ্যে পথে বসে গেছেন। বিষয়টির বিস্তৃৃতি ঠেকাতে মাঠে নেমেছে পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
আমরা মনে করি, শিলং তীর জুয়া খেলায় গ্রেফতারকৃতদের যেমন আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে, তেমনিভাবে তথ্য সংগ্রহ ও অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অপরাধীদের চক্র শনাক্ত করা বা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে মানুষ যেন এই ধরনের ফাঁদে পা না দেয় সেই বিষয়টিকে সামনে রেখেও সচেতনতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হতে হবে। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে পরিচালিত এই জুয়ার আসর শনাক্তের পর মামলাও করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত স্বীকারোক্তিতে উঠেও এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মূলত অনলাইন ক্যাসিনো ধাঁচের এই খেলার লেনদেনে ব্যবহার করা হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। এতে জুয়ার মাধ্যমে দেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচারের শঙ্কাও রয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুরুর দিকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংকেন্দ্রিক বিভিন্ন ওয়েবসাইটকে কেন্দ্র করে এই জুয়া আবর্তিত হলেও এখন এগুলোর পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে একাধিক ওয়েবসাইট তৈরি করে খেলা পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রথমে সিলেটের চা-বাগান শ্রমিকদের মাঝে এই জুয়ার ব্যাপকতা থাকলেও বর্তমানে তা সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা মনে করি, যত দ্রুত সম্ভব এই বিষয়টিকে আমলে নিতে হবে এবং জুয়ার বিস্তার রোধে সব ধরনের পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। কেননা, সিলেট থেকে শুরু করে সারাদেশে এর বিস্তৃত ঘটবে আর মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে এই নেশায়, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, একদিকে এই নেশায় পড়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার তথ্য আসছে, অন্যদিকে জুয়ার মাধ্যমে দেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচারের শঙ্কাও রয়েছে। সঙ্গত কারণেই এই বিষয়গুলো কোনোভাবেই এড়ানোর সুযোগ নেই। সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে এই ধরনের চক্রগুলোকে রুখে দিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা জারি থাকবে এমনটি কাম্য।