রফিকুল ইসলাম
শরৎ ঠোঁটে মৃদু চুম্বন দিয়ে গেল শেষে
শুভ্র বসনে শরৎ হাসি হেসে,
সাদা কাশফুলের খিলখিল হাসি
শরৎ চোখ তার বড় ভালোবাসি।
শরতের বিকালটাকে ভালোবাসিনী
ধূসর মেঘে ক’ফোঁটা অশ্রু
ফেলে গেল কি?
কেঁদে কেঁদে শরৎরাণী অভিমানিনী ।
সবুজেরা দোল খায় তৃণপল্লব শাখাতে
ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ উড়ে বক পাখাতে।
নদীর তীরে কাশফুল শরতের সাদাচুল
বাতাসের আদর খেয়ে দোলে মৃদুল।
পথিক কাছাকাছি এসে থমকে দাঁড়ায়
কাশফুল নুয়ে পড়ে পথিকের পায়।
মৃদুমন্দ দোলে ঘাসফুল আর
বিলের বুকে শাপলা
শুভ্রমেঘ ছুঁয়ে ছুটে চলে চিল আর
নাম না জানা পাখিরা।
পোয়াতি চাঁদের সফেদ জ্যোৎস্নায়
শিউলি ছড়ায় মদির ঘ্রাণ
সূর্যের সাথে আছে তার কি অভিমান?
শরৎ প্রভাতে সাতরঙ ছড়াবার আগে
মাটির কোলে লজ্জায় মুখ ঢাকে।
শরতের বিদায় পথে রেখে যায়
নবীন ধানের মঞ্জরী
ক্ষণিকের শিশির টলমল শুভ্র কিশোরী।
নিঃশব্দ চরণ ফেলে ভীরু পায় ফিরে যায়
গোপনে ডাক দিয়েছে পাতা ঝরার বেলা,
প্রকৃতির অপূর্ব রূপের খেলা; বিষণ্ন ঝরা
কাশের পুচ্ছ, ছির ম্লান শেফালির মালা।